
ফাইল ছবি।
গতকাল বাসে চেপে জাপানের টোকিও থেকে কিয়োটো শহরে এসেছিলাম, আসার পথে জানালার ফাঁক দিয়ে যতটুকু পারি বাইরে তাকিয়ে ছিলাম ۔দেখলাম পাহাড় কে যতটুকু যত্নে রাখা যায় সেই প্রবণতাই চোখে পড়েছে ۔ বিশেষ করে পাহাড়ের চূড়ায় কোনো ঘরবাড়ি নেই, নেই ডিসি বাংলো, এমপি বাংলো ! ফলজ বাগান রয়েছে, কিন্তু বাগান বাড়ি নেই ! পাহাড় কে দুইভাগ করে রাস্তা ও তেমন দেখিনি , ফ্লাই ওভার , সুড়ঙ্গ পথই চোখে পড়েছে বেশি, আট ঘন্টার এই জার্নিতে পথে একটুকরো ময়লা ও চেখে পড়েনি!
পাহাড়ি মানুষ হিসাবে আমার মনের কষ্ট টা দ্বিগুন হলো ! আমাদের পর্যটন কেন্দ্র বগালেক, নীলাচল,নীলগিরি, সাজেক ( আমি অবশ্য সাজেকের নাম দিয়েছি শরণার্থী শিবির !) কিয়েকবস্থা করে ফেলেছি আমরা ! দয়াকরে আপনারা এই পোস্ট এ সরকারের দোষ অমুকের দোষ তমুকের দোষে আমাদের এই অবস্থা লিখবেন না ! পারলে নিজের দোষের তালিকা দেন ! দেয়ার সাহস না থাকলে চুপ থাকেন , আর অনেকেই পাহাড় ভূমি কিনতে পারছেন না বলে আফসোস করে থাকেন, ধরে নেন আপনার পঞ্চ একর পাহাড় রয়েছে, সেখানে আপনি কি করতে চান সেইটা ও লিখতে পারেন!
এবার আসি আমার দোষের কথায় , আমার ও শৈশব থেকে এই বাংলো সেই বাংলো দেখে স্বপ্ন ছিল উঁচু কোনো পাহাড়ের চূড়ায় থাকবে আমার কাঠের তৈরী দুইতলা একটা ঘর থাকবে ! আমি ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি নিয়ে ওখানে যাওয়া আসা করবো ! আজ সকালে সেই স্বপ্ন মুছে ফেলেছি !
যাই হোক আজ সন্ধ্যে সাত টায় আমার পারফর্মেন্স রয়েছে, যা পূর্বপরিকল্পনা ছিল টা হয়তো পরিবর্তন হবে আজকে কিয়োটো শহর ভ্রমণের পর! শুভ সকাল, শুভ বিছানায় শুয়ে ফেসবুকিং!
লেখাটি জয়দেব রোয়াজার ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেয়া হয়েছে।