
ফাইল ছবি।
একজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ (এপিডেমিওলজিস্ট) হিসেবে করোনা ভাইরাস নিয়ে কিছু বলা দরকার। চ্যালেন্জ করে বলছি:
বাংলাদেশের মানুষের করোনা ভাইরাস নিয়ে আতংকিত হবার কিছু নেই। কারণ ---
(১) চীনসহ অন্যান্য দেশে 95124 হাজার আক্রান্ত মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যে 51171 জন মানুষ সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় চলে গেছে। (এই তথ্য ৪ মার্চ ২০২০ অনুযায়ী)।
(২) এই রোগে মৃত্যু হার মাত্র 1.02 পারসেন্ট। মানে একশো জনে মাত্র একজন। সড়ক দুর্ঘটনায় এর চেয়ে অনেক বেশি মানুষ প্রতিদিন মারা যায়।
(৩) শিশু এবং কিশোরদের ঝুকি খুবই কম। যারা মারা গেছে তাদের মধ্যে শিশু এবং কিশোর নেই বললেই চলে।
(৪) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেই মারা যায় না। সুতরাং এত ভয়ের কিছু নেই।
(৫) 23 ডিগ্রি কিংবা বেশি তাপমাত্রার দেশে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারবে না। যারা আক্রান্ত হয়েছে তারা কোনো না কোনো ভাবে চায়না গিয়েছে অথবা চায়না থেকে আগত কারো দ্বারা সংক্রমিত হয়েছে। সিংগাপুর থেকে তথ্য নিন। সেখানে কিছু মানুষ আক্রান্ত হয়েছে কিন্তু রোগটি মহামারী আকারে ছড়াতে পারেনি। কারন তাপমাত্রা।
(৬) ইরানের তাপমাত্রা এই মুহুর্তে 10-12 ডিগ্রি। বিশ্বাস না হলে গুগলে চেক করে দেখুন। ইতালিতে, জার্মানিতে, ওয়াশিংটনে তাপমাত্রা কম।
(৭) 23 ডিগ্রির চেয়ে বেশি তাপমাত্রার দেশে মৃত্যু হার কিংবা সংখ্যা খুবই নগণ্য।
(৮) বাংলাদেশে কিংবা অস্ট্রেলিয়ায় এখন গ্রীষ্মকাল। সুতরাং ভয়ের
কিছু নেই।
(৯) করোনা ভাইরাসের ঝুকি নারীদের তুলনায় পুরুষদের বেশি। মানে তুলনামূলকভাবে পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
(১০) এটা সাধারণ জ্বরের মতোই। এতে গা গরম-সর্দি-কাশি- হাচি টাইপের উপসর্গ দেখা যায়। ৭-১০ দিনের মধ্যে অধিকাংশ রোগীর জ্বর ভালো হয়ে যায়।
(১১) মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে।
*** বাংলাদেশে সাপের দংশনে যত মানুষ মারা যায়, তার অধিকাংশই বিষ নেই এমন সাপের দংশনে মারা যায়। কারণ রোগী মনে করে, যেহেতু তাকে সাপে দংশন করেছে, আর রক্ষা নাই। সে মরেই যাবে। ভয়ে হার্টফেল করে। সুতরাং প্যানিক্ড হবেন না। আতংক ছড়াবেন না। বি পজেটিভ, প্লিজ।
লেখাটি গবেষক এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক ড: শাখাওয়াৎ নয়নের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেয়া হয়েছে।