Logo
×

Follow Us

মিডিয়া

যথার্থ পিতার ঔরশজাত কন্যা শেখ হাসিনা

Icon

প্রবীর বিকাশ সরকার

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২০, ০৯:৪৭

যথার্থ পিতার ঔরশজাত কন্যা শেখ হাসিনা

আগেই বলে রাখি, এই লেখা পড়ে আমাকে কেউ জননেত্রী শেখ হাসিনার চামচা, আওয়ামী লীগের দালাল বা চাটুকার, তোষামোদী বলে বিবেচনা করবেন না। কোনো পদক ও পুরস্কার আদায়ের পন্থা বলে ভাববেন না। আমি বাস্তববাদী মানুষ, খেটেখাওয়া কায়িক শ্রমিক এবং একজন সামান্য লেখক।

আমি বিশ্বাস করি যার যতটুকু প্রাপ্য তাকে ততটুকু দিতে হবে। যার যতটুকু ক্ষমতা আছে সে ততটুকুই করবে। কোনো মানুষই পৃথিবীতে পারফেক্ট ছিলেন না, পারফেক্ট মানুষ আসবেনও না। মানুষ সুপার হিউম্যান নয়। ছিলও না কোনোকালে। ভুলভ্রান্তি আর দোষগুণ মিলিয়েই প্রতিটি মানুষ। কিন্তু এই পার্থিব মানুষের দোষ-গুণ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি, অনুপ্রাণিত হতে পারি, তার পথ অনুসরণ করতে পারি। এইভাবে যুগে যুগে মানুষের কেবল গুণান্বিত সুকৃত কর্মের দ্বারাই মানবসমাজ এগিয়ে গেছে এবং এগিয়ে যাবেই। সুতরাং যদি কোনো মানুষের কাছ থেকে আমি ভালো কিছু পাই তাকে ধন্যবাদ জানানো, তার কৃতকর্মের দ্বারা প্রভাবিত হলে তাকে কৃতজ্ঞতা জানানো স্বাভাবিক মানবগুণ বলে আমি মনে করি।

আবার কোনো মানুষের অন্যায়, অপরাধ বা ভুলভ্রান্তির জন্য তার সমালোচনা করার অধিকারও মানুষেরই রয়েছে। এটাও অস্বীকার করা যাবে না। মানুষের ইচ্ছাশক্তিকে দমন করা যায় না, ক্রোধ-আক্রোশকেও ক্রোধ-আক্রোশ দিয়ে দমন করা সম্ভব হয় না। তার জন্যই দরকার নীতি, আদর্শ ও আলোচনা। সুতরাং মানুষই ইতিহাস সৃষ্টি করে, মানুষই ইতিহাস ভেঙে ফেলে। ভাঙাগড়ার জন্য, ন্যায়-অন্যায়ের জন্য মানুষই দায়ী।

আবার মানুষের সীমাবদ্ধতাও আছে, তাকেও অতিক্রম করা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না জীবদ্দশায়। তাই শক্তিশালী, প্রভাবশালী মানুষও অতিরিক্ত শক্তি হিসেবে হাতিয়ার চায় অথবা সমমনা সঙ্গী, প্রতিরক্ষী প্রত্যাশা করে। এই হচ্ছে চিরন্তন মানব সত্তা।

প্রচলিত ধারায় নারীকে আমরা দুর্বল, অবলা, অযোগ্য ইত্যাদি বলে শৈশবেই পরিবার থেকে জেনে-শুনে বড় হই। সেটাই সুসংস্কারে পরিণত হয়ে আছে আজও উপমহাদেশীয় সমাজে এই একুশ শতকেও। অথচ নারীরা যে পুরুষের সমকক্ষ হতে পারে তার দৃষ্টান্তও তো কম নেই বিশ্বে! কিন্তু আমরা পরশ্রীকাতর বলে, পৌরুষত্বকে জাহির করার অদম্য ইচ্ছেতে নারীদের ভালো কাজ, সাহসী-দুঃসাহসী উদ্যোগ, প্রকল্প বাস্তবায়নকে হেয় করে থাকি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, সমাজে, পরিবারে অনুকরণযোগ্য বলে শিশুদের সামনে তুলে ধরি না। পাঠ্যপুস্তকে স্থান দিই না। এটা উপমহাদেশের ট্রাডিশন।

এই নোংরা ট্রাডিশনকে ভেঙে দিয়েছেন একজন নারী এবং বর্তমান বাংলাদেশে তিনি শেখ হাসিনা। এটা আমি বা আপনি স্বীকার করি বা না করি বাস্তবতাকে খণ্ডন করার শক্তি কারো নেই। যে যত কথাই বলুন, যত হাম্বিতাম্বি করুন, হামলাহামলি করুন অথবা যত বড় নেতাই আপনি হন, যত বড় অধ্যাপকই আপনি হন, যত বড় চাকরিজীবীই হন, আপনাকে উদহারণ স্থাপন করতে হবে, আপনার মেধা, প্রতিভা ও ইচ্ছশক্তির দৃশ্যমান প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে, তা না করা পর্যন্ত আপনি বড় কিছু, বড় মানুষ বলে বিবেচিত হবেন না। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার বা স্বীকৃতি ’নোবেল পুরস্কারে’র আমরা সমালোচনা করে থাকি, কিন্তু নোবেল প্রদান করা হয় নির্বাচিত মানুষের কোনো না কোনো শিক্ষামূলক, দৃষ্টান্তমূলক কাজ অথবা স্বাতন্ত্র্যের জন্য। এটা বিস্মৃত হলে চলবে না।

উপরোক্ত এই যে কথাগুলো আমি লিখলাম, সবগুলোর লক্ষণই সুস্পষ্টভাবে আমরা বাংলাদেশের অন্যতম একজন নারী রাজনীতিবিদ শেখ হাসিনার মধ্যে আছে বলে আমার বিশ্বাস। অর্থাৎ ভালো ও মন্দ দুটো দিকই আছে। আগেই বলেছি, মানুষ সবকিছুকে অতিক্রম করা বা নিয়ন্ত্রণ করার সুপার পাওয়ার রাখে না। বরং মানুষ সুপার ন্যাচারাল পাওয়ার দ্বারা আমৃত্যু নিয়ন্ত্রিত। তথাপি, জীবদ্দশায় প্রতিটি মানুষই কিছু সুযোগ পায় যা সে তার বিদ্যা, বুদ্ধি, মেধা বা স্বপ্রতিভার দ্বারা সফল করতে সক্ষম হয়।

বর্তমান প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কিছু সুযোগকে সফল করতে পেরেছেন, বাকীগুলোও পারা না পারা তার মেধা, ইচ্ছাশক্তি, অভিজ্ঞতা এবং কূটনীতির ওপর নির্ভর করছে। কিন্তু নারী হয়েও এই পুরুষতান্ত্রিক অসম সমাজে তাঁর অদম্য ইচ্ছাশক্তির আমি প্রশংসা করি। এবং তা প্রতিটি মেয়ে ও নারীর অনুকরণীয় বলেও বিশ্বাস করি। এই যে সাহসের আগুন জ্বালানোর অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি সৃষ্টি করা আমাদের সমকালে আর কোনো নারী ব্যক্তিত্ব পেরেছেন বলে তো আমার স্মরণে নেই!

আমি আমার দীর্ঘ ৩৫ বছরের জাপান প্রবাসজীবনে জাপানের উন্নতির অনেক কিছুই স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ লাভ করেছি। অনেক অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে। অনেক লড়াকু জাপানি নাগরিকের সঙ্গে ওঠবস করার সৌভাগ্য হয়েছে। সেইসঙ্গে যতখানি আধুনিক জাপানের ইতিহাস, ইতিবৃত্ত পাঠ করার ক্ষমতায় কুলিয়েছে তাতে এটাই বুঝতে পেরেছি যে একটি দেশ ও জাতিকে উন্নত করতে হলে যা দরকার তা হল: ছল, বল এবং কৌশল। এই তিনটি গুণ বলি দোষ বলি আর যা-ই বলি সচেতন মানুষ মাত্রই বুঝতে পারার কথা, আমার ব্যাখ্যা করার দরকার নেই।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জ্বলেপুড়েধসে ছাই হয়ে যাওয়া, বিধ্বস্ত জাপান মাত্র ২০ বছরের মাথায় অলৌকিক উন্নতি সাধন করেছিল। বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত করতে পেরেছিল নিজেকে, প্রকৃতপক্ষে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রথম শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল যেমন প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, উৎপাদন ও বাণিজ্যর ক্ষেত্রে। সত্তর-আশির দশকে “জাপান বেশিন” বলে একটা কথা উঠেছিল গণমাধ্যমে, তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছিল জাপান, এজরা ভোগাল নামে এক সাংবাদিকের বইও রয়েছে দুই দেশের বাণিজ্যিক ব্যবধান নিয়ে। অর্থাৎ জাপান বাণিজ্য ক্ষেত্রে ছল ও বলের আশ্রয় নিয়েছে শতভাগ। ফলে “বাই আমেরিকা” বলে রব উঠেছিল। সেসব অনেক ইতিহাস। আর কৌশলটা কী ছিল? অভ্যন্তরীণ অবকাঠামো ও ভারি শিল্পের ক্ষেত্রে উন্নয়ন করতে গিয়ে “মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ”এর বাস্তবতা মেনে নিয়েছিল---এটাই হচ্ছে উন্নয়নের কৌশল। অর্থাৎ মুদ্রার এক পিঠে উন্নয়ন অন্যপিঠে দুর্নীতি। জাপানের সীমাহীন দুর্নীতির ইতিহাস নিয়ে কম লেখালেখি হয়নি! কম বই নেই! কম সংবাদ নেই পত্রপত্রিকায়! আবার কম নিয়ন্ত্রণ করারও চেষ্টা করেনি সরকার। প্রকৃতপক্ষে, এই হচ্ছে প্রকৃত রাজনীতি। এখানে অদৃষ্টবাদ, ধর্মের কোনো হাত নেই, প্রভাব নেই। কিন্তু কালো টাকার প্রভাব আছে বিস্তর। তাহলে কী কোনো নীতি ছিল না? অবশ্যই ছিল, “ধরি মাছ, না ছুঁই পানি” এই নীতি।

একটা দেশ ও জাতি যখন বিধ্বস্ত বা দারিদ্র থেকে উঠে দাঁড়াতে চায় তার সঙ্গে একটি শিশুর উঠে দাঁড়ানোর তুলনা করাই শ্রেয়। কতবার শিশু উঠে দাঁড়াতে গিয়ে মাটিতে পড়ে যায় কেউ কি বলতে পারবেন? জাপান তিনবার ধ্বংস হয়েছে তিনবার উঠে দাঁড়াতে গিয়ে বহুবার পড়তে হয়েছে, বড় বড় সমস্যা, প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়েছে, একাধিক পুরুষ নেতৃত্বর বদল হয়েছে, রক্ত ঝরেছে। পরিপূর্ণ “গণতান্ত্রিক” রাষ্ট্র বলে একটিও নেই পৃথিবীতে। রক্ষণশীলতাও আছে। রক্ষণশীলতা মনে নিয়ন্ত্রণ। নিয়ন্ত্রণের দাসই হচ্ছে আইন। জাপান, আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, রাশিয়া প্রভৃতি দেশ এই রকমই। চীনের মতো দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্রও উঠে দাঁড়াচ্ছে। সত্তর-আশি-নব্বইয়ে জাপান বাধাহীন উন্মুক্তভাবে উঠেছে, ওঠার পর, স্থিরতার পর, উন্নত হওয়ার পর এখন নানা ধরনের আইন তৈরি হচ্ছে, নিয়ম, নীতি তথা “সিস্টেম” বলবৎ হচ্ছে। সময় লেগেছে। পরিবর্তিত হতে হয়েছে। কখনো কখনো অসভ্য হতে হয়েছে। এসব তো আমার দেখা, জানা।

ঠিক একই পথ, পন্থা ও নীতি তথা ছল, বল ও কৌশল প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাও গ্রহণ করেছেন। এটা বোঝার ক্ষমতা যাদের নেই তারা বুঝবেন না। তাঁর সাফল্য কম নয়, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন তো মিথ্যে বলছেন না, দেখে এবং বুঝেই বলছেন, ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে। পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। বাঙালি অতীতেও এগিয়ে ছিল। বাঙালি সভ্যতার আলো চীন-জাপান হয়ে মধ্যপ্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে ছড়িয়েছে। বাঙালির শিক্ষা, রাজনীতি, কূটনীতি, প্রযুক্তি, বাণিজ্য, উদ্ভাবন বিশ্বনন্দিত হয়েছে এই সেদিনও। তবে ধারাবাহিকতা বিঘ্নিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ফলস্বরূপ রাজনৈতিক-সামাজিক পটপরিবর্তনের কারণে। আমূল পরিবর্তন হয়েছে। আরাধ্য স্বাধীনতার স্বাদ বিস্বাদে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতার অপব্যবহার হয়েছে। মানুষের অবমূল্যায়ন হয়েছে। নীতি, আদর্শ, চরিত্রের অবক্ষয় হয়েছে। পার্থক্য একটাই জাপান পরাধীনতার স্বাদ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। আর আমাদের স্বাধীনতার মূল্য অবমূল্যায়িত হয়েছে। কিন্তু চিরকাল এভাবে যায় না। ছেদ পড়ে। ছেদ পড়েছেও। বঙ্গবন্ধুহত্যাকাণ্ড, জিয়াহত্যাকাণ্ড, এরশাদের পতন, বিএনপির পতন, গ্রেনেড হামলা সবই এক-একটি ছেদ। এই ছেদ বা বিরতির কারণগুলো শেখ হাসিনাকে চিন্তা করতে শিখিয়েছে। তিনিও ইন্দিরা গান্ধীর কাছ থেকে কিছু শিখেছেন। ইন্দিরা গান্ধী আয়রন লেডি ছিলেন। লৌহ হচ্ছে ধাতু তাতে তাপ লাগলে তপ্ত হয়, আবার শীতল হতে সময় লাগে না। শেখ হাসিনার মধ্যেও একই ধাতবগুণ বিদ্যমান। তিনি দেখিয়েছেন নারী হয়েও তপ্ত হতে জানেন:

যথার্থ পিতার ঔরশজাত কন্যা তিনি, তাই জীবন বাজি রেখে পিতৃহত্যার বিচার সম্পন্ন করতে পেরেছেন। স্বাধীনতাবিরোধীদের শাস্তির বিধান করতে পেরেছেন। এই দুটি দুরূহ কাজ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তিনি আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক যুদ্ধে লড়েছেন। বিশ্বের আধুনিক ইতিহাসে এরকম উদহারণ দ্বিতীয়টি আছে বলে আমার জানা নেই।

তার আমলে কি নারীর ব্যাপক ক্ষমতায়ন হয়নি? তৃণমূল পর্যন্ত শিক্ষার বিস্তৃতি ঘটেনি? অবকাঠামোর উন্নয়ন কি বিদেশির দৃষ্টিকে বিস্ফারিত করছে না? যা করেছেন তিনি বা করছেন একাই এক হাতে করছেন। নিঃসঙ্গ শেরপা। তাঁকে সাহায্য করার মতো মেধাবী ও কর্মঠ নেতা ও কর্মী তাঁর দলেই নেই। সুযোগ-সুবিধা তিনি কম দিচ্ছেন একথা বলা যাবে না। কিন্তু সুযোগ-সুবিধা পেয়েও কাজে লাগাতে পারছে না যারা তাদের নির্বুদ্ধিতা, অলসতা, অক্ষমতার জন্য, এসবের জন্য তো তারাই দায়ী।

আবার যারা পারছেন তারা মূল্যায়িত হচ্ছেন, হবেনও। দেশটা শেখ হাসিনার একার নয়, সবার। সবারই দায়দায়িত্ব আছে কিছু করার। না করলে তাঁর কী করার আছে! সমুদ্রে ভাসমান মানুষ খড়কুটো আঁকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করে অথচ বড় সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারে না অনেক শিক্ষিতই বরং দুর্নীতি করছে যতখানি পারছে। দেশের ব্যাংক থেকে টাকা বিদেশে চালান হচ্ছে, এর জন্য কি তিনি দায়ী? সরকার দায়ী, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দায়ী, দলের নেতারা দায়ী, ব্যবসায়ীরাও দায়ী। তিনি একা কী করবেন? স্বাধীনতার পরের সময়টা চিন্তা করুন একবার, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে, তাজউদ্দিনের পরিচালনায় দেশ স্বাধীন হয়েছে, তারপর কি দেশের প্রভাবশালী মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাদের উচিত ছিল না দেশগঠনে, বঙ্গবন্ধু সরকারকে সাহায্য-সহযোগিতা করার? আমি বলি না, তাঁর ভুলভ্রান্তি, দোষ, পক্ষপাতিত্ব ছিল না কিন্তু সাধারণ মানুষ তো তাঁর বিপক্ষে যায়নি, বিপক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে প্রভাবশালী বিভ্রান্তরা, স্বাধীনতাবিরোধীরা, পাকিস্তানি দালালরা। তিনি একা কী করবেন? যতটুকু সক্ষম ততটুকুই করবেন। করে গেছেনও। আগেই বলেছি, মানুষ যত বড়ই হোক, যত শক্তিশালীই হোক সে সুপার ম্যান নয়! আজকে আমরা বঙ্গবন্ধুর আমলকেই দেখতে পাচ্ছি। একই “নিঃসঙ্গ শেরপা” হয়ে লড়ছেন তাঁর কন্যা শেখ হাসিনাও। 

অসহায় বঙ্গবন্ধুকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল একটিই দেশ জাপান। শেখ হাসিনাকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সেই জাপান। সেইসঙ্গে অদৃশ্য জাপানি নীতি: ছল, বল এবং কৌশল। এই নীতি ব্যবহার করছেন তিনি রাজনীতি, কূটনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, গণমাধ্যম, শিক্ষা, ধর্ম এবং উন্নয়ন ক্ষেত্রে। মূল লক্ষ্য: “সিস্টেম” প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশ সিস্টেমে যেতে বাধ্য। একজন নারী হয়ে নিঃসঙ্গ শেরপার মতো তাঁর এই লড়াই বিশ্বের নারী সমাজের জন্য একটি অনন্য উদাহরণ বললে আমার কি ভুল হবে? ভুল হলে ভুল। সঠিক হলে সঠিক। মানুষের ভালো কাজের মূল্যায়ন করতে দোষ কোথায়?

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জানাই রক্তিম অভিবাদন।


লেখাটি প্রবীর বিকাশ সরকারের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেয়া হয়েছে।


Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫