
সাবেক সিএনএনের সঞ্চালক ডন লেমন। ছবি: ফক্স নিউজ
সিএনএনের সাবেক অনুষ্ঠান সঞ্চালক ডন লেমন চাকুরি হারানোর পর প্রথমবার এবিসি২৪ চ্যানেলে তার এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, তিনি মিথ্যাবাদী ও বর্ণবাদ আচরণ যাদের ধ্যান-জ্ঞান তাদের বিশ্বাস করেন না। একইসঙ্গে তাদেরও– যারা তার মতো সংবিধান মেনে চলা লোকদের সমালোচনা করে থাকেন।
এবিসি২৪ চ্যানেলের রুডি উইলিয়ামসের করা প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন কথা বলেন। সিএনএন থেকে চাকুরিচ্যুতির পেছনে তার দায়িত্বে কোন অবহেলা ছিল কী না উইলিয়ামসের এমন প্রশ্নের জবাবে লেমন বলেন, সমাজের প্রতি শুধু সাংবাদিক হিসেবে নয় বরং আমার দায়িত্ব একজন মার্কিনি হিসেবেও।
তিনি বলেন, আমি সংবিধান মেনে সত্য বলার পক্ষে।
লেমনের মূলত চাকুরি হারানোর বিষয়টি সিএনএনের ‘ সিএনএন দিস মর্নিং’ অনুষ্ঠানের সহ-সঞ্চালক ও আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিক শিবিরে হতে প্রেসিডেন্ট মনোয়নপ্রত্যাশী ভিভেক রামেস্বামীর সঙ্গে অনুষ্ঠান চলাকালে মার্কিন অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন ইস্যুতে বাক বিতন্ডার জের। সেসময় তিনিও এ বিষয়ে রামেস্বামীর সঙ্গে তার যৌক্তিকতা তুলে ধরার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। ফলে কর্তৃপক্ষ সেটিকে ভালোভাবে মেনে না নেওয়ায় তাকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।
আর এ প্রসঙ্গে লেমন অনুষ্ঠানে জানান, আমি সত্য বলতে পিছপা হই না। আর যারা সংবিধান মেনে দেশের অধিকারের কথা বলে তাদের অগ্রাধিকার আমার কাছে বেশি।
লেমন বলেন, কারও পক্ষে বিশেষভাবে তাকে উপস্থাপন করা সাংবাদিকতার দায়িত্বের মধ্যে পরে না। বরং এটি সম্পুর্ণ পরিত্যাজ্য। হয়তো আমি তা করিনি বলেই আমাকে এ পরিস্থিতি মেনে নিতে হয়েছে।
এর আগে ১৭ জুন এনএএসিপি আয়োজিত ফ্রিডম ফান্ড শীর্ষক এক আলোচনায় লেমন সংবিধানে বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বক্তব্য দেওয়ার অধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করে একটি বক্তব্যও দিয়েছিলেন। আর সেই আলোকেই রামেস্বামীর সঙ্গে এ বিষয়ে দ্বিমত থাকায় পেশাগত জায়গা থেকে তাকে তিনি এমন ইস্যু সমর্থন করতে পারেন না বলে মন্তব্য করেন।
তবে কারও ওপর তার মত চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষেও নন বলে মন্তব্য করেন লেমন।
টেলিভিশন থেকে অব্যাহতির পর তার পরবর্তী লক্ষ্য কি জানতে চাইলে বলেন, খুব তাড়াহুড়ো নেই এ মুহূর্তে। তবে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত যেন না নেই আবারও, তাই সময় নিচ্ছি।
এর আগে গত এপ্রিলে লেমন তার ব্যক্তিগত টুইটে সিএনএন থেকে তার অব্যাহতিদানের বিষয়টি জানিয়েছিলেন। প্রায় সতেরো বছর তিনি সিএনএনে কর্মরত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতেও রিপাবলিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নিক্কি হ্যালের সমালোচনা করে তোপের মুখে পড়েছিলেন তিনি।
সূত্র: ফক্স নিউজ