Logo
×

Follow Us

মিডিয়া

সমালোচনায় গণমাধ্যম

১৯৫৫ সালে নিহত ইমেট টিলের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাইডেনের

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৩, ২২:৩৭

১৯৫৫ সালে নিহত ইমেট টিলের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাইডেনের

১৯৫৫ সালে নিহত কিশোর ইমেট টিলের শেষকৃত্যানুষ্ঠান। ফাইল ছবিঃ:ফক্স নিউজ

যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৫৫ সালের ২৮ আগস্ট  ১৪ বছর বয়সী ইমেট টিল নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ কিশোরকে প্রকাশ্যে হত্যা করেছিল বেশ কিছু উগ্র শ্বেতাঙ্গ জনগণ। আর এবারে তার স্মৃতিকে অম্লান করে রাখতে দেশটির ইলিনয়েজ ও মিসিসিপিতে স্মৃতি ফলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। বাইয়াডেন প্রশাসন মনে করছে, এই স্মৃতি ফলক নির্মাণের মধ্যদিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের অতীতে ঘটে যাওয়া নানা সময়ের বর্ণবৈষোম্যের ঘটনাগুলোর শিকার হওয়া কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি কিছুটা হলেও সম্মান দেখানো হবে। আর সম্প্রতি দেশজুড়ে বাইডেনের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে গণমাধ্যমে এসেছে নানা মন্তব্য। 

দেশটির এবিসি, সিএনএন ও এমএসএনবিসি এরইমধ্যে বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনও সম্প্রচার করে যাচ্ছে দেশজুড়ে। তারা বলছে, এর মধ্যদিয়ে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে নতুন করে আফ্রিকান-আমেরিকান ইতিহাস তৈরি হতে যাচ্ছে। আবার কিছু গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলছেন, এর ফলে পুরোনো নির্মম  ইতিহাস স্মরণে  এনে দেশটির অতীতের কালো অধ্যায়কে নবরূপে জাগ্রত করা হচ্ছে। বর্তমানেও এমন অনেক ঘটনা সম্প্রতি বছরগুলোতে ঘটেছে, সেদিকে আমাদের দৃষ্টি নেই কেন? 

 এদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইমেট টিলের নামে স্মৃতিফলক নির্মণের চূড়ান্ত একটি আদেশও জারি করেছেন। আর বিষয়টিকে গভর্ণর রন ডে স্যান্টিস ও দেশটির বিখ্যাত তারকা জেসন আলদিন স্বাগত জানিয়ে এটিকে বড় একটি ইতিহাসের সাক্ষী বলে মন্তব্য করেছেন। 

এর আগে, মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ইমেট টিল ও তার মা মেমি টিল মোবলের নামে জাতীয় স্মৃতিসৌধ নির্মাণের আদেশ জারি করেছে বাইডেন প্রশাসন। এদিকে হোয়াইট হাউজে ওই কিশোরের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করেন বাইডেন। 

এদিকে চূড়ান্ত ঘোষণার পর বেশ কয়েকজন বাম ঘরানার সাংবাদিক বিষয়টির সমালোচনা করেন। এমনকি ফ্লোরিডার শিক্ষা ব্যবস্থায় কৃষ্ণাঙ্গদের অতীত ইতিহাস নিয়ে পাঠ্যসূচীতে অধ্যায় অন্তর্ভূক্ত করা নিয়েও করেছেন বিরুপ সমালোচনা। 

এ প্রসঙ্গে এবিসির হোয়াইট হাউজ সংবাদদাতা বলেন, বাইডেনের এমন সিদ্ধান্ত বেশ বিতর্কিত কেননা এতে করে কালোদের নিয়ে নতুন করে ফ্লোরিডা শিক্ষা বোর্ডে এমন বিষয়ে পাঠদান তেমন সুখকর হবে না। 

অন্যদিকে এমএসএনবিসির সঞ্চালক মিশেল আন্দ্রিয়া বলেন, এমন ব্যবস্থা দেশটির কৃষ্ণাঙ্গদের বিষয়টিকে খুব সস্তাভাবে উপস্থাপন করতে যাচ্ছে। কিছু অঙ্গরাজ্যে এমন সিদ্ধান্ত প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার বদলে বিকৃত অনেক কিছুকেই স্থান দেওয়ার একটি শংকার পথ তৈরি করবে।   

এসময় মিশেল ‘ ডিসটোরশন অব ব্ল্যাক হিস্ট্রি’ নামের রাষ্ট্র ঘোষিত সিলেবাসের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, আসলেই ব্যাপারটা এই যুগে কতটা গুরুত্বপুর্ণ! ১৯৫০ ও ১৯৬০ দশকের মত কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর নির্যাতনের এমন ঘটনা আজকালও হচ্ছে।  সে বিষয়ে আমাদের ভাবনার জায়গা নেই। 

অন্যদিকে গায়ক জেসন আলদিয়ান অবশ্য এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। সম্প্রতি তার এক মিউজিক ভিডিওতে ১৯২৭ সালে কৃষ্ণাঙ্গদের ওপরে নির্যাতনের বিষয়টিকে তুলে ধরার পাশাপাশি ১৯৪৭ সালে ঘটে যাওয়া দাঙ্গার বিষয়টি তুলে ধরেন তার ওই ভিডিওতে।

আর বাইডেন বলছেন, এক সময় ছিল যখন কিনা কৃষ্ণাঙ্গদের নিয়ে লেখা বই, ইতিহাস, ঘটনাবলী নিয়ে লেখ প্রবন্ধ পুড়িয়ে ফেলা হত। কিন্ত আমরা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, অতীতের মত এমন দুর্বিষহ অন্ধকার ইতিহাসকে বিকৃত করার কারও অধিকার নেই। তারা কিছুই মুছতে পারেনি। সময় এসছে প্রকৃত ইতিহাস জানার। জনগণ নতুন করে জানবে। 

সূত্র ফক্স নিউজ 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫