
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম।
সাংবাদিকতা করতে প্রেস কাউন্সিলের সনদ লাগবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম।
সারাদেশে কর্মরত সব সাংবাদিকের তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, তথ্যভাণ্ডার তৈরি হওয়ার পর যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত সাংবাদিকদের সনদ দেবে প্রেস কাউন্সিল। সনদধারীরাই কেবল নিজেদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দিতে পারবেন।
আজ শনিবার (১৯ আগস্ট) পঞ্চগড় সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘প্রেস কাউন্সিল আইন, আচরণবিধি ও সাংবাদিকতার নীতিমালা’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে প্রেস কাউন্সিল। সহযোগিতা করে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন।
নিজামুল হক নাসিম বলেন, ‘সারাদেশে প্রায় ৫০ হাজার সাংবাদিক আছেন। তাদের তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হচ্ছে। মফস্বল সাংবাদিকদের তথ্যের জন্য জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছি। যাদের সনদ দেওয়া হবে তাদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে স্নাতক পাস। বিশেষ ক্ষেত্রে ৫ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতাসম্পন্নদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার এই শর্ত কিছুটা শিথিল থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আগে সাংবাদিকদের নামে প্রেস কাউন্সিলে মামলা দেওয়া হলে সেখানে রায়ে শুধুমাত্র তিরস্কারের বিধান ছিল। এখন সেটি সংশোধিত হয়ে ৫ লাখ টাকার জরিমানার বিধান সংযুক্ত করা হয়েছে। সুয়োমোটো রুল (স্বপ্রণোধিত রুল) জারির বিধান রাখা হয়েছে।’
প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আইন প্রণয়ন করেছিলেন। এই আইনটি নতুন করে সংশোধন চূড়ান্ত করা হয়েছে। সংসদে পাস হওয়ার অপেক্ষায় আছে। কমিটির সদস্য সাংবাদিকরা যারা সুপারিশ করেছিলেন এখন তাদের মধ্যে কেউ কেউ এই আইনের বিরোধীতা করছেন।’
সেমিনারে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। স্বাগত বক্তব্য দেন পঞ্চগড় জেলার তথ্য কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিকুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রিয়াজউদ্দিন। দিনব্যাপী এই আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় পঞ্চগড়ে কর্মরত ৫৪ জন গণমাধ্যমকর্মী অংশ নেন।