বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, সহনশীলতা, গুজব ও ভুল তথ্য যাচাই, সংবাদের সত্যতা, পক্ষপাতমূলক ও উদ্দেশ্যমূলক প্রচারিত সংবাদের মান যাচাই করাসহ মানসম্মত তথ্য উৎপাদনের বিষয়ে জ্ঞান অর্জনে অনলাইন কোর্স চালু করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন।

জার্মানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডি ডব্লিউ একাডেমির সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালিত ‘সেন্সিটাইজিং ইয়ং ডাইভার্সিফাইড পিপল অন মিসইনফর্মেশন অ্যান্ড ফ্যাক্টচেকিং’ অনলাইন কোর্সের দ্বিতীয় ব্যাচের নিবন্ধন শুরু হয়েছে।

আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার রুমকী ফারহানা এই তথ্য জানান।

বাংলা ভাষায় প্রণীত ৫ সপ্তাহের এই অনলাইন কোর্স যে কেউ বিনামূল্যে করতে পারবেন। বিশেষ করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ, নতুন প্রজন্মের সাংবাদিক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীসহ যে কেউ এই কোর্স থেকে উপকৃত হবেন।

সফলভাবে কোর্স সম্পন্ন করার পর শিক্ষার্থীদের ডি ডব্লিউ একাডেমি ও আর্টিকেল নাইনটিন এর স্বীকৃত সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট এবং স্মার্টফোনে যে কেউ তাদের সুবিধামত সময়ে কোর্সটি করতে পারবেন। এজন্য https://banglatutorial-media.org/ এই ঠিকানায় গিয়ে নিবন্ধন করে কোর্সের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে।

বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যম পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে এবং বাংলাদেশও এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। বিশেষ করে অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি তথ্যের উৎস ও মতপ্রকাশের মাধ্যম হিসেবে ক্রমাগতভাবে জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। কিন্তু একইসঙ্গে এ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টরা নানা ধরনের নেতিবাচক ও স্পর্শকাতর ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- বিদ্বেষমূলক তথ্য প্রচার, গুজব, ফেক বা ভুঁয়া তথ্যের ব্যবহার, উদ্দেশ্যমূলক তথ্য প্রচার ইত্যাদি।

গণমাধ্যম তথ্য সাক্ষরতা জ্ঞানের অভাবে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, বিভিন্ন কমিউটির মানুষ, নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকরা শারীরিক ও আইনি  ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। গণমাধ্যম  তথ্য সাক্ষরতা  না থাকলে যে কাউকে ভুল তথ্যের মাধ্যমে বিপথে পরিচালিত করা যায়। তাই এ পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের জন্য সমাজের বিভিন্ন স্তর, গোষ্ঠী, ধর্ম বর্ণসহ নতুন প্রজন্মের সাংবাদিক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারিসহ সকলকে দক্ষ ও সচেতন করে তোলা দরকার।

এই অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সংবাদের সত্যতা, ভুল তথ্য ও গুজব, পক্ষপাতমূলক ও উদ্দেশ্যমূলক প্রচারিত সংবাদের মান যাচাই করতে পারাসহ নিজেরাও মানসম্মত তথ্য উৎপাদন করতে পারবে।