
আল জাজিরা কার্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
ইসরাইয়েলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা বন্ধ না করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। সংগঠনটি জানিয়েছে, ‘ক্ষমতাশালীদেরকে জবাবদিহি করতে গণমাধ্যমের কণ্ঠের বৈচিত্র্যতা ও বলিষ্ঠ ভূমিকা থাকা আবশ্যক, আর তা যদি হয় যুদ্ধকালীন সময় তবে সেটি আরও গুরুত্বপূর্ণ।’
এর আগে গত বুধবার নতুন জরুরি বিল অনুমোদন করে ইসরায়েল পার্লামেন্ট। এতে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমটির ওপর বিধিনিষেধ আরোপের পথ সুগম হয়। আল-জাজিরার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভিযোগ, গণমাধ্যমটি পক্ষপাতিত্ব করে যাচ্ছে। এতে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি হচ্ছে।
গত সপ্তাহে এই বিল উত্থাপন করেন ইসরায়েলের যোগাযোগমন্ত্রী শলোমো কারহি। টাইমস অব ইসরায়েলের বরাত দিয়ে জানা যায়, যদি কোনো গণমাধ্যমের প্রকাশিত খবরে জাতীয় নিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলার ক্ষতি কিংবা সেটা ‘শত্রুর প্রচারণার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে’, তাহলে প্রবিধানটি ওই গণ্যমাধ্যমে সম্প্রচার বন্ধের পাশপাশি সম্প্রচার সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করতেও কর্মকর্তাদের অনুমোদন দেবে।
বুধবার আইনটি কার্যকরের বিষয়ে কারহি ও অ্যাটর্নি জেনারেল গালি বাহারাভ-মিয়ারার মধ্যে মতৈক্য হয়। এখন দেশটিতে আল-জাজিরার কার্যক্রম বন্ধ করেতে তেমন বাধার সম্মুখীন হতে হবে না।
উল্লেখ্য, গাজা ও ইসরায়েল দুই জায়গা থেকেই সরাসরি সংবাদ সংগ্রহ ও সম্প্রচার করা গুটিকয়েক গণমাধ্যমের মধ্যে একটি হল আল-জাজিরা।
এদিকে সিপিজের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা কর্মসূচির সমন্বয়ক শরিফ মানসুর এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘জাতীয় মনোবলের ক্ষতি সাধনের অস্পষ্ট অভিযোগ এনে চলমান ইসরায়েল-গাজা সংঘাতের সংবাদ প্রকাশের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের হুমকিতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আল-জাজিরাকে নিষিদ্ধ না করতে এবং সাংবাদিকদের তাদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে সিপিজে।’
এর আগে কাতার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৯৬ সালে যাত্রা শুরু করে আল-জাজিরা। এখনকার মত অতীতেও ইসরায়েলের সরকারের বিষোদ্গার ও বিধিনিষেধের মুখে পড়েছিল আন্তর্জাতিক এই জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমটি।
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট