
সাংবাদিকের ওপর হামলার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ। ছবি: ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সাংবাদিক মফিজুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনায় শৈলকুপা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার (৬ মে) দুপুরে প্রেসক্লাবের সামনে সড়কে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ-মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে অবিলম্বে হামলাকারী দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার দাবি জানানো হয়। এছাড়া সাংবাদিক রাজিব মাহমুদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ হামলার নিন্দা জানানো হয়।
দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলাকারী দুর্বৃত্তচক্রদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনা না হলে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচিসহ সাংবাদিকরা কালোব্যাজ ধারণ, কলম বিরতি, অনশন ও থানা পুলিশের সমস্ত ইতিবাচক সংবাদ বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। মানববন্ধন ও বিক্ষোভে শৈলকুপা প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহিন আক্তার পলাশ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান মিল্টনসহ সাংবাদিক নেতা ও সহকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক লোকসমাজ ও নয়াদিগন্ত পত্রিকার সাংবাদিক প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের সিনিয়র সদস্য মফিজুলের উপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে দুপুরে কর্মসূচি শুরু হয়। শৈলকুপার কবিরপুরে প্রেসক্লাব ভবনের সামনের সড়কে ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা জড়ো হতে থাকে। তারা ব্যানার হাতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অংশ নেয়।
এসময় প্রেসক্লাব সভাপতি আমাদের সময় পত্রিকার শাহিন আক্তার পলাশ, সাধারণ সম্পাদক প্রতিদিনের বাংলাদেশের আব্দুর রহমান মিল্টন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গ্রামের কাগজের এম. হাসান মুসা, সমকাল পত্রিকার তাজনুর রহমান ডাবলু, দৈনিক ইনকিলাবের শিহাব মল্লিক, মানবজমিনের ওয়ালিউল্লাহ ওলি, স্পন্দন পত্রিকার মাসুদুজ্জামান লিটন, সাপ্তাহিক ডাকুয়ার শামীম বিন সাত্তার, স্বদেশ বিচিত্রার এনায়েত হোসেন, আমার বার্তা পত্রিকার শহিদুজ্জামান বাবু, আমার সংবাদের আব্দুল জব্বার, মানবকণ্ঠের এম বুরহান উদ্দীন, আমাদের নতুন সময়ের আলীমুজ্জামান আলিম, খবরপত্রের চঞ্চল মাহমুদ, এই আমার দেশের সম্রাট হোসেন, প্রতিদিনের কণ্ঠের মেহেদী হাসান মিঠু, সাংবাদিক তুহিন জোয়ার্দ্দারসহ অন্যান্য সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এম.এ কবির অংশগ্রহণ করে।
প্রসঙ্গত, পেশাগত কাজে গত ৪ মে (শনিবার) রাতে শৈলকুপার লাঙ্গলবাঁধ যাওয়ার পথে বন্দেখালী এলাকা থেকে সাংবাদিক মফিজুল ইসলামের গতিরোধ করে একদল চিহ্নিত দুর্বৃত্ত অতর্কিতে তার উপর হামলা চালায়।