অবরুদ্ধ কাশ্মীরের ছবি তুলে ৩ ফটোসাংবাদিকের পুলিৎজার জয়

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২০, ১১:৩০

শ্রীনগরে বিক্ষোভে মুখোশধারী এক কাশ্মীরি বিক্ষোভকারী ভারতীয় পুলিশের একটি সাঁজোয়া গাড়িতে পাথর ছুঁড়ছে। ছবি: দার ইয়াসিন
ভারত শাসিত কাশ্মীরের অবরুদ্ধ পরিস্থিতি কাভারেজ করে সাংবাদিকতায় সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার পুলিৎজার জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা এপির তিন ফটোসাংবাদিক।
২০১৯ সালের আগস্ট থেকে কাশ্মীরে টানা কারফিউ, ইন্টারনেট আর মোবাইল বন্ধের মতো শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিশ্বের সামনে তুলে ধরে এই সম্মান পেয়েছেন তারা।
কাশ্মীরের ফটো সাংবাদিক দার ইয়াসিন, মুখতার খান ও চান্নি আনন্দ পুরস্কার জিতেছেন ফিচার ফটোগ্রাফি শাখায়।
করোনায় কয়েক সপ্তাহ স্থগিত থাকার পর পুলিৎজারের প্রশাসক ডানা ক্যানডির বৈঠকখানা থেকে সোমবার ইউটিউবে সরাসরি এই পুরস্কারের ঘোষণা আসে।
ভারতীয় সেনার ছোড়া মার্বেল বলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ছয় বছরের মানিফা নাজিরের ডান চোখ। ছবি: মুখতার খান
এক বিবৃতিতে পুলিৎজার কর্তৃপক্ষ জানায়, অস্থির কাশ্মীরি জীবনের আকর্ষণীয় ছবি তোলার কারণে এপির তিন সাংবাদিক পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। কখনো পথচারীদের আড়ালে লুকিয়ে, কখনো রোডব্লক এড়িয়ে, আবার কখনো সবজির ব্যাগে ক্যামেরা নিয়ে এই তিন সাংবাদিক বিক্ষোভ, পুলিশ আর আধাসামরিক বাহিনীর অভিযান আর প্রাত্যহিক জীবনের ছবি তুলেছেন। ছবি তোলা শেষে তারা স্থানীয় বিমানবন্দরে গিয়ে যাত্রীদের হাতে ফাইল দিয়ে দিল্লিতে এপি’র কার্যালয়ে ছবি পৌঁছে দিয়েছেন।
এপির প্রেসিডেন্ট ও সিইও গ্যারি প্রুইট বলেছেন, ওই তিন সাংবাদিকের কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও চমৎকার। কাশ্মিরের অভ্যন্তরের দলকে ধন্যবাদ।
গত বছরের আগস্টে জম্মু ও কাশ্মীরকে সংবিধানে দেওয়া বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় নরেন্দ্র মোদি সরকার। সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়ায় এর পর থেকে অঞ্চলটি বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
পুরস্কার ঘোষণার পর এক ইমেইল বার্তায় দার ইয়াসিন বলেন, সব সময়ই এটা ছিলো ইদুর-বিড়ালের খেলা। আর এতে করে আমরা আরো বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতাম যে কখনোই স্তব্ধ করা যাবে না।
জম্মুতে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে বিএসএফের নজরদারি। ছবি: চেন্নাই আনন্দ
দার ইয়াসিন ও মুখতার খান কাশ্মিরের মূল শহর শ্রীনগরের বাসিন্দা হলেও চান্নি আনন্দ জম্মু জেলার বাসিন্দা। আনন্দ বলেন, এই পুরস্কার পেয়ে বাকরুদ্ধ। আমি বিস্মিত আর বিশ্বাসই করতে পারছি না।
প্রতিবছর ২১টি বিভাগে পুলিৎজার পুরস্কার দেয়া হয়। এর মধ্যে ফিকশনে দ্বিতীয়বারের মতো জিতেছেন কলসন হোয়াইটহেড। আর সাংবাদিকতায় সর্বোচ্চ তিনটি বিভাগে জিতেছে নিউইয়র্ক টাইমস। -আল জাজিরা