Logo
×

Follow Us

মিডিয়া

ফ্যাক্টচেকিংয়ে উঠে আসছে ভারতের তথ্য সন্ত্রাস

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৬

ফ্যাক্টচেকিংয়ে উঠে আসছে ভারতের তথ্য সন্ত্রাস

মিথ্যা খবরের প্রভাব পড়েছে মূল ধারার গণমাধ্যমে। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের মিথ্যা খবরের প্রভাব পড়েছে মূল ধারার গণমাধ্যমে। যা উঠে আসছে দেশি বিদেশি নানা ফ্যাক্টচেকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সংকট নিরসনের স্বার্থেই দুই দেশের উচিত আলোচনায় বসা।

ভারতের মিডিয়ার সর্বৈব মিথ্যা প্রচারণা বাংলাদেশকে নিয়ে ৫ আগস্টের পর থেকে। টানা এমন মিথ্যা প্রচারণার প্রভাব পড়েছে দেশটির মূলধারার গণমাধ্যমেও। স্বভাবতই যার রশে পড়ছে দুদেশের মানুষের মানসপটে। হামলা হয়েছে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে। প্রতিবাদে মিছিল হচ্ছে বাংলাদেশেও।

মেটা বা ফেসবুক স্বীকৃত বাংলাদেশের একমাত্র ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টওয়াচের বিশ্লেষণ বলছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ নিয়ে যে খবরগুলো আসছে তার বেশিভাগই মিথ্যা তথ্য। এই মিথ্যা প্রচারণায় বিশ্বের শীর্ষ দেশও এখন ভারত। যা ওঠে এসেছে জার্মানির এক গবেষণা প্রতিবেদনে।

ফ্যাক্টচেকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সুমন রহমান বলছেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ জনমত গড়তে নানা উপায় নিচ্ছে ভারতীয় গণমাধ্যম। বিশেষ করে বাংলা ভাষার মিডিয়াগুলো।

ফ্যাক্টওয়াচের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সুমন রহমান বলেন, তারা তথ্য ম্যানুপুলেট করছে, মিথ্যা এক্সপার্ট তৈরি করে। এরপর এক্সপার্ট মতামত দিতে থাকে। এমন সব আর্টিক্যাল লিখবে যার কোনো ভিত্তি নেই। যেমন কয়েক দিন আগেও প্রফেসর ড. ইউনুসকে কোড করে একটি কথা লিখে। কোড করা কথাটি কি পরিমাণ অযৌক্তিক সেটা নিয়ে বিরাট আর্টিক্যাল লিখে ফেলে। কিন্তু দেখা যায় ড. ইউনুসকে কোড করে যে কথা বলা হয়েছে সেটিই মূলত মিথ্যা।

ইসকন বাংলাদেশের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য হৃষীকেশ গৌরাঙ্গ দাস বলেন, এমন প্রচারণায় সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে। ভারতকে গণমাধ্যমকে আহ্বান জানাবো যে তারা সত্য তথ্য তুলে ধরুক। কোনো বিষয়কে বিশেষায়িত বা অতিরঞ্জিত করার দরকার নেই। এর জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের মানুষের সুন্দর সম্পর্ক সেটি খারাপ অবস্থার দিকে চলে যাচ্ছে।

অনেকটা যুদ্ধ ঘোষণা করার মতো করে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রচারণার বিষয়ে কূটনীতির যে রাজনীতি তা কি অন্তর্বর্তী সরকার সামাল দিতে পারছে এমন প্রশ্নে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, পরিস্থিতির থেকে উত্তরণের একমাত্র মাধ্যম আলাপ-আলোচনা। দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিবরা কয়েকদিন পর আলোচনায় বসবেন। আমি মনে করি উত্তেজনা কমাতে এটি একটি ইতিবাচক ধাপ হতে পারে।

তার মতে, বাংলাদেশের হালকা করে দেখার সুযোগ নেই প্রতিবেশী দেশের এমন অবস্থানকে। যদিও ভারতেরে এই প্রোপাগণ্ডা দৃঢ় হচ্ছে বাংলাদেশের ভেতরকার বন্ধন। এক ছাতায় নিয়ে এসেছে সব পথের সব মতের মানুষকে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫