
ক্যাসিনোকাণ্ড নিয়ে আলোচিত যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আজ রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে যুবলীগ নেতাদের নিয়ে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া যুবলীগে নতুনভাবে বয়সসীমা ৫৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়েছে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপসকে। ৭১ বছর বয়সী ওমর ফারুক যুবলীগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। দুর্নীতিতে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কয়েক সপ্তাহ ধরে তিনি গণমাধ্যমের শিরোনামে ছিলেন।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য চয়ন ইসলামকে আহ্বায়ক এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদকে সদস্য সচিব করে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করা হয়েছে। আগামী ২৩ নভেম্বর যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসের আগ পর্যন্ত এই কমিটিই সংগঠনের সব কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে জানান তিনি।
এর আগে বিকেল পাঁচটায় গণভবনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতাদের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ওমর ফারুক চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, শেখ ফজলুর রহমান মারুফ এবং শেখ আতিউর রহমানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম হারুনুর রশিদ।
বৈঠকে যুবলীগের আসন্ন কংগ্রেসসহ সংগঠনটির ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি ‘অসামাজিক’ কার্যকলাপে সংশ্লিষ্ট থাকায় সংগঠনটির বেশ কয়েকজন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।
উল্লেখ্য, রাজধানীতে ক্লাব ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে অনেকটা টালমাটাল অবস্থা যুবলীগে। এ অভিযানে গ্রেফতার হয়েছেন যুবলীগের প্রথম সারির বেশকয়েকজন নেতা। এরপর থেকে অনেকটাই আড়ালে চলে গেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী।
যুবলীগের জাতীয় কংগ্রেস আসন্ন হলেও যাচ্ছেন না সাংগঠনিক ও ব্যক্তিগত কার্যালয়ে। এর মধ্যে তাকে ছাড়াই প্রেসিডিয়ামের মিটিং হয়েছে। সেই মিটিং থেকেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করা ও তার নির্দেশনা নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।