সাংবাদিকতা সমাজে নেতৃত্বপ্রদানকারী পেশা: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

মেহনাজ খান
প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৯:২৮
সাংবাদিকতাকে চ্যালেঞ্জিং পেশা উল্লেখ করে সাম্প্রতিক দেশকালের সম্পাদক ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ বলেছেন, যারা সাংবাদিকতাকে প্যাশন হিসেবে নিতে পারবেন, যারা লড়াই ও প্রতিকূলতায় সংগ্রাম করতে পারবেন তারাই এ পেশায় টিকে থাকতে পারবেন।
তিনি বলেন, সাংবাদিকতাকে যারা অন্যান্য পেশার মতোই একটি পেশা হিসেবে নিতে চান, তাদের জন্য এ পেশায় টিকে থাকা মুশকিল। কারণ, সাংবাদিকতা কোনো সাধারণ পেশা নয়, এটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। সমাজে নেতৃত্ব প্রদানকারী পেশা।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘এসইউজেএফ জার্নালিস্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি গত ২০-২৫ বছর ধরে সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা অন্যান্য পেশায় চলে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি এর পিছনে অর্থনৈতিক কারণসহ বিভিন্ন বাধা-বিপত্তির কথা জানান।
তিনি বলেন, সাংবাদিকতা পেশাকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া দরকার সেভাবে নিতে গেলে যে সহযোগীতা দরকার তা পাচ্ছেন না। আমাদের মনে রাখতে হবে, এ পেশায় যারা আমরা কাজ করবো, তাদের জন্য কেউ সহযোগীতা কিংবা সমর্থন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে না। পুরো সময়টাই কঠিন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে পার করতে হবে। যারা এ লড়াই , প্রতিকূলতা সংগ্রাম করতে পারবেন তারাই সাংবাদিকতায় টিকে থাকতে পারবেন।
অনুষ্ঠান শেষে সাত সাংবাদিককে ‘এসইউজেএফ জার্নালিস্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে রয়েছেন দ্য ডেইলি স্টারের ডেপুটি চিফ রিপোর্টার আল-মাসুম মোল্লা, নিউ এজ এর সিনিয়র রিপোর্টার আহম্মদ ফয়েজ, দৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার জাহিদুর রহমান, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের সিনিয়র রিপোর্টার মোর্শেদ হাসিব হাসান, বিবিসি বাংলার ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সানজানা চৌধুরী ঐশী, যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার হাবিব রহমান এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট ওমর ফারুক। তারা সবাই স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য রুমানা হক রিতা, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইউনুছ মিয়া, সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী আব্দুল মান্নান, রেজিস্ট্রার আব্দুল মতিন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু।
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি হাসান ওয়ালীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের কনভেনর মোশাররফ হোসেন, কো-কনভেনর তপন মাহমুদ লিমন, সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া আসাদী, সাংবাদিক ফোরামের সাবেক সভাপতি সাইফুল মাছুম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সানমুন আহমেদ, সাংবাদিক ফোরামের সহ-সভাপতি এসকে শাওনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাগণ।