সাগর-রুনি হত্যা: ১০ বছরেও শেষ হলো না তদন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:০৫

সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর পার হয়েছে আজ শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি)। এতো বছরেও এই হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত কাজ শেষ হয়নি। এ হত্যা মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় সেটি জমা দেওয়ার তারিখ ৮৫ বার পিছিয়েছেন আদালত।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন। তখন বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ। হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন।
বিগত ১০ বছরে ৮৫ বার সময় নিয়েও আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তারা। গত ২৪ জানুয়ারি ছিল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার ৮৫তম তারিখ। কিন্তু এই তারিখেও অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেননি কর্মকর্তা। তাই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরবর্তী সময় ধার্য করেছেন ২৩ ফেব্রুয়ারি।
মামলাটির অভিযোগপত্র জমা না দেওয়ায় নিয়মতান্ত্রিকভাবে কোনো পিপি নিয়োগ দেওয়া যায়নি। আদালতে মামলাটি এখন দেখছেন জেনারেল রেকর্ড অফিসার (জিআরও)।
মামলাটির জিআরও পরিদর্শক জালাল উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, আদালত থেকে ৮৫ বার সময় নিয়েও তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেননি। মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় হয়তো সময় বেশি লাগছে।
এদিকে সাগর-রুনি হত্যার এক দশক পূর্ণ হওয়ায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির গ্রহণ করেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ডিআরইউর দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বছর ঘুরে আবারও সেই ১১ ফেব্রুয়ারি। ২০১২ সালে এইদিন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি নির্মমভাবে খুন হয়েছিলেন। এক দশক পেরিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু প্রকৃত হত্যাকারীদের এখনও শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হয়নি। বিচার প্রক্রিয়াও থমকে আছে। নিষ্ঠুর এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে ডিআরইউসহ গোটা সাংবাদিক সমাজ আজও সোচ্চার।
ডিআরইউ তিন দিনের কর্মসূচি হলো- বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টায় ডিআরইউ চত্বরে মোমবাতি প্রজ্বলন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ডিআরইউ চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ, রবিবার সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ।