
তোয়াব খান। ছবি: সংগৃহীত
একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খানের দ্বিতীয় জানাজা জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের টেনিস গ্রাউন্ডে কিংবদন্তি এ সাংবাদিকের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে তার প্রথম জানাজা সকাল ১০টায় তেজগাঁওয়ের দৈনিক বাংলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে তার মরদেহ রাখা হয় শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।
জানাজা নামাজের আগে তোয়াব খানের ছোট ভাই ওবায়দুল কবির খান বলেন, আমার বড় ভাই গত শনিবার দুপুরে মৃত্যুবরণ করেন। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ হচ্ছে, যদি উনি কখনো আপনাদের সাথে ভুল ব্যবহার বা অন্য কোনো কিছু করে থাকে তবে তাকে ক্ষমা করে দেবেন। একই সাথে তার আত্মার মাগফিরাতের জন্য দোয়া রাখবেন।
জানাজায় অংশ নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, তোয়াব খান বাংলাদেশের ইতিহাসের একজন কিংবদন্তি সাংবাদিক। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার অসামান্য অবদান ছিল। স্বাধীন বাংলার সাথে কাজ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধের জন্য কাজ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব হিসেবে কাজ করেছেন, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন এবং পিআইবির মহাপরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, দৈনিক পাকিস্তান যখন নাম পরিবর্তন করে দৈনিক বাংলা হলো সেটির প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। আজকের দিনে দৈনিক বাংলার সম্পাদক থাকা অবস্থায় তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তার হাত ধরে বাংলাদেশের বহু প্রথিতযশা সাংবাদিকের জন্ম হয়েছে। তার লেখনি আমাদের দেশ ও জাতিকে উপকৃত করেছে। তিনি সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে একজন পথিকৃত। তার মৃত্যু আমাদের সাংবাদিকতা জগতের জন্য শুধু নয়, পুরো জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আজকে আমরা শোকে ভারাকান্ত। আমাদের সাথে হয়তো প্রকৃতিও আজ কাঁদছে। প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য তোয়াব ভাই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আমি সবার কাছে বলব, আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন। তার মৃত্যুতে সাংবাদিকতা আজকে শূন্যস্থানে গিয়ে পৌঁছেছে। তোয়াব ভাইয়ের চলে যাওয়া মানে সাংবাদিকতার একটি ইতিহাসের অধ্যায় শেষ হওয়া।
এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তোয়াব খানকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়েছে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলামের উপস্থিতিতে তাকে এ সম্মান দেওয়া হয়। এ সময় তার মরদেহ জাতীয় পতাকায় মুড়ে দেওয়া হয়।