অবরুদ্ধ গাজায় বিদ্যুতের অভাবে মৃত্যুঝুঁকিতে শতাধিক নবজাতক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৪৭

বিদ্যুৎ না থাকায় সবচেয়ে বিপদে পড়েছে হাসপাতালে অবস্থান করা রোগী ও শিশুরা। ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান সংঘাতের আজ পঞ্চম দিন। গাজায় টানা তীব্র হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। সেখানে প্রবেশ করে তারা যে কোনো পরিস্থিতিতে যে কাউকে গুলি করতে পারবে—এমন অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল সরকার।
এদিকে, গত সোমবার (৯ অক্টোবর) থেকে হামাস অধ্যুষিত গাজার সর্বাত্মক নিয়ন্ত্রণ নিতে বিদ্যুৎ, খাবার, পানি, ওষুধ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। বিদ্যুৎ না থাকায় সবচেয়ে বিপদে পড়েছে হাসপাতালে অবস্থান করা রোগী ও শিশুরা।
শহরের আল-ওয়াফা হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান খালাফ জানিয়েছেন, হাসপাতালগুলোকে এখন জেনারেটরের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। কিন্তু এসব হাসপাতালে অত্যাবশ্যকীয় কিছু জরুরি সেবা রয়েছে যেগুলো জেনারেটর দিয়ে পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
খালাফ আরও জানান, গাজার হাসপাতালগুলোতে বর্তমানে শতাধিক নবজাতক রয়েছে যাদের বাঁচিয়ে রাখার সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাচ্ছে। কারণ এসব শিশুকে জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য বিদ্যুৎ চালিত চিকিৎসা সরঞ্জামের ওপর করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘তারা খুব ছোট। খুবই দুর্বল।’
এদিকে ডায়ালাইসিস করে বেঁচে থাকা এক হাজারের বেশি রোগীও এখন মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। কারণ ডায়ালাইসিস মেশিনগুলো বিদ্যুৎ ছাড়া চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এই অবরোধকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন শেহাদা।
এদিকে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ তুলেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গুরুতর আহত ফিলিস্তিনিদের কাছে অ্যাম্বুলেন্স এবং জরুরি স্বাস্থ্যকর্মীদের পৌঁছাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা শহরের আল-কারামা টাওয়ারে বিমান হামলার পর আহত ব্যক্তিদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টার সময় ফের হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে একটি অ্যাম্বুলেন্স ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ২ জন নিহত ও ২ স্বাস্থ্যকর্মী আহত হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র আল জাজিরাকে বলেন, 'মেডিকেল টিম বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে কাজ করছে। আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে আহ্বান জানাই মেডিকেল টিমের সুরক্ষার জন্য অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিন।'
প্রসঙ্গত, সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করাকে যুদ্ধাপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।