
গাজার দক্ষিণে মিশরের রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং। ছবি: সংগৃহীত
কিছুদিন আগেই বিয়ে হয়েছে তাদের। তবে গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলার জেরে আলাদা হয়ে যেতে হল একে অপরের থেকে। স্ত্রী রাফাহ সীমান্ত পাড়ি দিতে পারলেও স্বামী অনুমতি পাননি। কারণ, স্ত্রী জর্ডানের নাগরিক, আর স্বামী ফিলিস্তিনি।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর গতকাল বুধবার (১ নভেম্বর) প্রথমবারের মতো বিদেশি পাসপোর্টধারী বেসামরিক ব্যক্তিদের জন্য রাফাহ ক্রসিং খুলে দেয় মিসর।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে আল–জাজিরার আরবি ভাষার সংস্করণের কর্মীরা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। এতে দেখা গেছে, রাফাহ সীমান্তে আলাদা হয়ে যাওয়ার সময় এই নবদম্পতি কাঁদতে কাঁদতে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে বিদায় জানাচ্ছেন।
এর আগে আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জর্ডানি স্ত্রীকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মিসরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর তাঁর ফিলিস্তিনি স্বামীকে গাজাতেই থেকে যেতে হবে।
সংক্ষিপ্ত এক সাক্ষাৎকারে ওই ব্যক্তি বলেন, তিনি তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে রাফাহ সীমান্তে গিয়েছিলেন। স্ত্রী যেন নিরাপদে সীমান্ত পার হতে পারেন, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছেন তিনি।
ফিলিস্তিনি এই নাগরিক আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমার একমাত্র অপরাধ হলো আমি ফিলিস্তিনি।