গাজা-ফিলিস্তিন যুদ্ধ নিয়ে বেশ অনেকদিন ধরেই সরব রয়েছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমান। আর এবারে এ ধারাবাহিকতায় যেসব দেশ ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি করছে তা বন্ধের আহবান জানিয়েছেন। ইসরায়েলে প্রধান অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে সেনা, অস্ত্র ছাড়াও বিমানবাহী যুদ্ধ জাহাজসহ পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন ও ড্রোন সরবরাহ করে থাকে। 

সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করার জন্য মঙ্গলবার ব্রিকস সম্মেলনে বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।

দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস এর একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়ে সালমান এমন কথা বলেন। এ সময় সম্মেলনে  ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা অংশ নিয়ে ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে তাদের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন।

এ সময় সালমান বলেন, সৌদি আরব ১৯৬৭ সালের সীমান্ত চুক্তির আদলে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য এখন থেকেই শান্তি প্রক্রিয়া শুরুর দাবি জানাচ্ছে। 

তিনি বলেন, “আমাদের অবস্থান স্থির এবং দৃঢ়। দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ছাড়া ফিলিস্তিনে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা অর্জনের আর কোনো উপায় নেই।” 

এর আগে বছরের শুরুতে রিয়াদকে ব্রিকস ব্লকে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

এদিকে সালমান গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান প্রত্যাহারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

এ সময় গাজায় সৌদি ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার দাবিও জানান বিন সালমান। 

বিন সালমান আরো বলেন, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ করছে। 

৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় ১৩ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজা কর্তৃপক্ষ। 

সূত্র: আরব নিউজ/মিডল ইস্ট মনিটর