
পশ্চিম তীরে একাধিক অভিযান পরিচালনা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। ছবি- সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের দক্ষিণ জেরুজালেমের বেথেলহাম খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুর জন্মস্থান। বেথেলহামে এ বছর বড়দিন উদযাপন বাতিল করা হয়েছে। সাধারণত হাজার হাজার পর্যটক ও তীর্থযাত্রীর উপস্থিতিতে যে ম্যাঞ্জার স্কোয়ার পূর্ণ থাকত, এবার সেখানে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আজীবন শান্তি ও সহাবস্থার বাণী প্রচার করে যাওয়া যিশুরু জন্মভূমি আজ অশান্ত।
আজ সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরেও গাজার দক্ষিণের শহর খান ইউনিসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে সোমবার ভোরে পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
আগের দিন রবিবার তথা বড়দিনের সন্ধ্যায় গাজার আল-মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে। এর অধিকাংশই নারী ও শিশু।
রবিবার হামলার পর গাজার শরণার্থী বিভাগের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরা বলেন, সেখানে অনেক পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
তথ্যমতে, রবিবার রাতে তিনটি বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় একটি জনবহুল আবাসিক ব্লক ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
গাজায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে শিশু ৮ হাজারের বেশি। নারী সাড়ে ৬ হাজারের বেশি। আহত হয়েছে আরও ৫৪ হাজার।
অন্যদিকে পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছে ৩০৩ জন এবং আহত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৪৫০ জন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এতে সেখানে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়।
এরপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর গাজায় স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
বড়দিন উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে যিশুর শান্তির বার্তা উপেক্ষা করে তারই জন্মস্থানের পবিত্র ভূমিতে ইসরায়েলি যুদ্ধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।
সোমবার দেওয়া এক ভাষণে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, আজ আমাদের হৃদয় বেথেলহামে রয়েছে। যেখানে অনর্থক যুদ্ধের যুক্তি দেখিয়ে যিশুর শান্তির বার্তাকে আবারও উপেক্ষা করা হয়েছে। এমনকি অস্ত্রের সংঘর্ষের মাধ্যমে আজও তাকে পৃথিবীতে শান্তিময় স্থান খুঁজে পেতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
সূত্র- আজ-জাজিরা, বিবিসি