‘অল আইজ অন রাফাহ’র প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের পাল্টা জবাব

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ২১:২৪

রাফার শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বিমান হামলায় প্রতিবাদে অল আইজ অন রাফাহ লিখে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। প্রতীকী ছবি
ফিলিস্তিনের গাজার রাফায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারকা, খেলোয়াড় এবং সাধারণ মানুষসহ অনেকে ‘অল আইজ অন রাফাহ’ লিখে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
মূলত রাফার শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বিমান হামলায় ৪৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার প্রতিবাদে অল আইজ অন রাফাহ লিখে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী সামাজিক মাধ্যমে চলমান এই আন্দোলনের জবাবে ইসরাইলও পাল্টা প্রচারণা শুরু করেছে।
মূলত গোটা বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ডের রাফায় আশ্রয় নেয়া ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে যে পোস্ট করছে, সেখানেই উল্লেখ করা হচ্ছে ‘অল আইজ অন রাফাহ’।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গেল রবিবার রাতে দক্ষিণ গাজার রাফায় শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলের হামলায় নারী-শিশুসহ ৪৫ জন নিহত হন। এমন হামলার পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, রাফায় হামলা ছিল একটি ‘মর্মান্তিক দুর্ঘটনা’।
শুরুতে ইসরাইলি সেনারা দাবি করেছিল, হামাসের ঘাঁটিতে সফল অভিযান চালানো হয়েছে। যাতে বেশ কয়েকজন হামাস কমান্ডার নিহত হয়েছেন। কিন্তু শরণার্থী শিবিরে হামলার তথ্য সামনে আসতেই নিন্দায় সরব হয় বিশ্ব। আর তারপর থেকেই ট্রেন্ডিংয়ে ‘অল আইজ অন রাফাহ’।
ছবিটি প্রাথমিকভাবে ইনস্টাগ্রামের স্টোরিজ ফিচারের মাধ্যমে শেয়ার করা হয়। যারা এটি শেয়ার করেছেন, তাদের মধ্যে আছেন ভারতীয় তারকারা রিচা রিড্ডা, বরুন ধাওয়ান, সোনাক্ষী সিনহা, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, কারিনা কাপুর, দিয়া মির্জা, স্বরা ভাস্কর এবং আলিয়া ভাটসহ আরও অনেকে।
ফিলিস্তিন বংশোদ্ভুত মার্কিন সুপার মডেল বেলা হাদিদ, আইরিশ অভিনেত্রী নিকোলা কফলানসহ অনেক স্বনামধন্য ব্যক্তিরাও এ ছবি শেয়ার করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ছবিটি ৪০ মিলিয়েনের বেশি শেয়ার হয়েছে। এ ছাড়া এক্সে দ্য প্যালেস্টাইন পেজেএটিতে তিন লাখ ৮৯ হাজার জন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
এদিকে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল সরকার হামাসের হামলার এআই দিয়ে তৈরি করা একটি ছবি বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করেছে। যেখানে একটি শিশুর সামনে বন্দুক হাতে হামাসের যোদ্ধা দাঁড়িয়ে আছে।
ছবিটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘আমরা কখনোই ৭ অক্টোবরের বিষয়ে কথা বলা বন্ধ করব না। জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত আমরা যুদ্ধ বন্ধ করব না।’