মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই সৌদি আরবের কাছে ৪৪ কোটি ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়াহর এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

পেন্টাগন এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘উপসাগরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য সৌদি আরবকে সাহায্য করার মাধ্যমে এই বিক্রি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির লক্ষ্য এবং জাতীয় নিরাপত্তার উদ্দেশ্যগুলোকে সমর্থন করবে।’

মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের মধ্যে সংঘাতকে ঘিরে সেখানে প্রচণ্ড সামরিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় অঞ্চলটিতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার সম্ভাবনার মধ্যেই সৌদি আরব এসব অস্ত্র কিনছে। 

চলতি মাসের ৭ অক্টোবর সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। তিনি সৌদি আরবের প্রতিরক্ষার প্রতি ওয়াশিংটনের প্রতিশ্রুতি জানান। 

পেন্টাগননের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘প্রস্তাবিত ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি সৌদি আরবের প্রতিরক্ষার শক্তি বৃদ্ধি করে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবিলার ক্ষমতাকে উন্নত করবে। সৌদি আরবের সশস্ত্র বাহিনীতে এই সরঞ্জাম ব্যবহার এবং পরিচালনায় কোন অসুবিধা হবে না’।

২০১৫ সালে সৌদি আরবের নেতৃত্বে একটি সামরিক জোট প্রতিবেশী ইয়েমেনে হামলা শুরু করে। এতে সৌদি জোট যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যবহার করত। হুতিদের সঙ্গে এ যুদ্ধে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়। এতে মার্কিন প্রশাসন চাপে পড়ে।

এই অবস্থায় ক্ষমতায় এসে ২০২১ সালে সৌদিতে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে কঠোর হন প্রেসিডেন্ট জো বাইেডন। এর মধ্যে ২০২২ সালের মার্চ থেকে সৌদি ও হুতিরা জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যায়। 

চলতি বছরের আগস্টে জানা যায়, আকাশ থেকে ভূমিতে হামলা চালানোর মতো কিছু গোলাবারুদ সৌদিতে বিক্রি-সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। প্রচলিত অস্ত্র হস্তান্তর নীতির আলোকে ধাপে ধাপে এসব গোলাবারুদ সৌদির কাছে হস্তান্তর করা হবে।