-678c8da5221ce.jpg)
ত্রানবাহী ট্রাক। ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে প্রতিদিন গাজায় ৬০০টি ট্রাক প্রবেশ করবে। এর মধ্যে ৫০টি থাকবে জ্বালানিবোঝাই ট্রাক। জাতিসংঘসহ একাধিক আন্তর্জাতিক মহল খাদ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গতকাল শনিবার (১৮ জানুয়ারি) মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলআত্তি এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মিশর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন গাজার যুদ্ধবিরতির এই চুক্তি অনুয়ায়ী প্রতিদিন গাজায় ৬০০টি ট্রাক প্রবেশের ব্যবস্থা করবে, যার মধ্যে ৫০টি ট্রাকে থাকবে জ্বালানি। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
এরইমধ্যে গাজা-মিশর সীমান্তে অপেক্ষমান মানবিক ত্রাণভর্তি শত শত ট্রাক। দুর্ভিক্ষ এড়াতে উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ পৌঁছানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
লেবাননে সফরকালে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস যুদ্ধবিরতির পর গাজায় বিনা বাধায় ত্রাণ সরবরাহের আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, প্রথম দিন থেকেই আমি গাজায় যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তি, এবং মানবিক সাহায্যের প্রবেশাধিকার নিয়ে কাজ করছি। আমার বিশ্বাস, আগামীকাল আমরা এই তিনটি উদ্দেশ্যে অগ্রগতি দেখতে পাব। আর কোনো সংঘর্ষ হবে না, সাহায্য সহজে প্রবেশ করবে এবং জিম্মিদের মুক্তি শুরু হবে।
এদিকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফিলিস্তিনের সরকারি জোট গাজা উপত্যকার পূর্ণ দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।
দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং পিএ জোটের শীর্ষ নেতা মাহমুদ আব্বাসের দফতর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, গাজা উপত্যকার পূর্ণ দায়দায়িত্ব নিতে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করেছে ফিলিস্তিনের সরকার। এ দায়িত্ব পালনের জন্য যেসব প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা দল প্রয়োজন, সেসব কাজও শেষ হয়েছে।