এবার আমিরাত-ইসরায়েলের মধ্যে টেলিফোন যোগাযোগ চালু

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২০, ১৪:৩৭

ছবি: বিবিসি
যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক উদ্যোগে স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তির প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি টেলিফোন পরিষেবা চালু করা হয়েছে।
এর ফলে দুই দেশের বাসিন্দারা এখন থেকে সরাসরি একদেশ থেকে অন্যদেশে ফোন করতে পারবেন। গতকাল রবিবার (১৬ আগস্ট) এই পরিষেবা চালু হয়।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একে অপরকে ফোন করেন এবং ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তির পরে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষরের ঘোষণা দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন বিশ্ব নেতারা। তবে এ চুক্তি নিয়ে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে ফিলিস্তিন, ইরান ও তুরস্কে।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম তীরের অংশীকরণের বিষয়ে বিতর্কিত পরিকল্পনা স্থগিত করতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল।
আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন যায়িদ আল-নাহিয়ানকে টেলিফোনের পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাবী আশকেনাজি রবিবার টুইটারের একটি বার্তায় লিখেছেন, দুই পক্ষই দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি স্বাক্ষরের আগে উভয় পক্ষই সরাসরি টেলিফোন যোগাযোগ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইসরায়েলের যোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের টেলিফোন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ইসরায়েলের টেলিফোন কোড উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
ইসরায়েলের যোগাযোগ মন্ত্রী ইয়োয়াজ হেন্ডেল বলেন, টেলিফোন কোড উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য আমি সংযুক্ত আরব আমিরাতকে স্বাগত জানাই। অনেক অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং দুই দেশের স্বার্থ রক্ষায় এটি আস্থা তৈরি করার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
টেলিফোন সংযোগ প্রতিষ্ঠা ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইসরায়েলের যেসব সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট বন্ধ ছিল, সেগুলোও এখন ইন্টারনেটে দেখা যাচ্ছে।
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য মুসলিম দেশ ইসরায়েলের সাথে শান্তিচুক্তি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ট্রাম্পের প্রধান উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার বলেছেন, ট্রাম্পের কার্যালয়ে আসার পর থেকে তিনি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। -বিবিসি