গুলিতে নয়, তিন সন্তানসহ আত্মঘাতী হন বাগদাদি

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:২৭

আবু বকর আল বাগদাদি। ফাইল ছবি
সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর সেনা অভিযানে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রতিষ্ঠাতা ও শীর্ষ নেতা আবু বকর আল বাগদাদি মারা গেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল রবিবার হোয়াইট হাউসে তা নিশ্চিত করেন এবং অভিযানের বিস্তারিত বিবরণ দেন।
তিনি বলেন, ‘বাগদাদি যে বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন রাতের বেলায় মার্কিন স্পেশাল ফোর্স সেখানে ওই অভিযান চালায়। আটটি হেলিকপ্টার অভিযানে অংশ নেয়। প্রচণ্ড গোলাগুলির পর মার্কিন কমান্ডরা বাড়িটি ঘিরে ফেলে দরজা দিয়ে না ঢুকে দেয়াল ভেঙে বাড়ির আঙ্গিনায় ঢোকে।’
তিনি বলেন, ‘বাগদাদি সেসময় তাঁর তিন সন্তানকে নিয়ে একটি বদ্ধ সুড়ঙ্গে লুকানোর চেষ্টা করেন। মার্কিন সেনাদের সঙ্গে থাকা কুকুর তাকে তাড়া করলে উপায় না দেখে আইএস নেতা শরীরে বাঁধা বিস্ফোরক ফাটিয়ে দেন। বিস্ফোরণে সুড়ঙ্গটি তার শরীরের ওপর ধসে পড়ে এবং তাঁর শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। সঙ্গে থাকা তিনটি শিশুও নিহত হয়েছে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এ সময় আইএস নেতার বেশ কজন সহযোগীও নিহত হয়েছেন। ছিন্নভিন্ন শরীরের ডিএনএ পরীক্ষা করে বাগদাদির পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। দুই ঘণ্টা ধরে চলা অভিযানের শুরুতে ১১টি শিশুকে সেখান থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়। তারা অক্ষত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বাগদাদি কুকুরের মতো মারা গেছে...কাপুরুষের মতো মারা গেছে। বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসী নেতার বিচার সম্পন্ন করেছে।’
উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় ইদলিব প্রদেশে বারিশা নামের একটি গ্রামের এক ব্যক্তি শনিবার গভীর রাতে চালানো ওই নাটকীয় সেনা অভিযানের কথা বিবিসিকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ৩০ মিনিট ধরে হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালানো হয়। দুটি বাড়িকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়। অভিযানে একটা বাড়ি গুঁড়িয়ে যায় এবং এরপর সেনাবাহিনী সেখানে ঢোকে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বলেছেন, মার্কিন বাহিনী ওই অভিযানে ব্যাপক অস্ত্র ব্যবহার করেছে।
২০১১ সালে আইএস নেতাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। পরে পুরস্কারের অঙ্ক বাড়িয়ে দুই কোটি ৫০ লাখ ডলার করা হয়।
আবু বকর আল বাগদাদি নিহত হওয়ার খবর এর আগেও অনেকবারই পাওয়া গেছে, কিন্তু পরে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। বিবিসির সিরিয়া বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বলেছেন, অন্তত ৩৫ বার বাগদাদির নিহত হবার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু পরে দেখা গেছে, সেসব খবর সঠিক ছিল না। -বিবিসি