
জামাল খাসোগি ও মোহাম্মদ বিন সালমান
সৌদি আরবের নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে আটক বা হত্যার অনুমোদন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান দেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গতকাল শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের দফতর ওই প্রতিবেদন নিজের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।
দুই বছর আগে দুনিয়াজুড়ে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের সংশ্লিষ্টতার কথা এবারই প্রথম প্রকাশ করলো যুক্তরাষ্ট্র।
এতে বলা হয়েছে, আমাদের মূল্যায়ন হলো- জামাল খাসোগিকে আটক বা হত্যা করতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অভিযান চালানোর অনুমোদন দেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদি আরবে যুবরাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার কথা বিবেচনা করে আমরা এই মূল্যায়নে পৌঁছেছি।
খাসোগি ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর খুন হন। এরপর তার লাশ গুম করা হয়। খাসোগি এক সময় সৌদি সরকারের পরামর্শক ছিলেন। রাজ পরিবারের ঘনিষ্ঠও ছিলেন। এক সময় রাজপরিবারের আনুকূল্য হারান তিনি। ২০১৭ সালে স্বেচ্ছা নির্বাসনে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। সেখানে থেকে ওয়াশিংটন পোস্টে মাসে একটি করে কলাম লিখতেন, যাতে প্রিন্স মোহাম্মদের নীতির সমালোচনা করতেন তিনি।
খাসোগি হত্যার দায়ে সৌদির একটি আদালত দেশটির পাঁচজন নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে তাদের সাজা কমিয়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড করা হয়।
শুরুতে খাসোগি হত্যার কথা অস্বীকার করে সৌদি আরব। পরে দেশটির সরকার স্বীকার করে, কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তা ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। সৌদি যুবরাজ এই হত্যায় তার সম্পৃক্ততার কথা শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছেন।
এদিকে এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগের দিন বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সাথে ফোনে কথা বলেন মার্কিনপ্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফোনালাপে সৌদির বাদশাহর কাছে মানবাধিকার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাইডেন।
সৌদির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বলেছে, বাদশাহ সালমান ও প্রেসিডেন্ট বাইডেন দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এই অঞ্চলে ইরানের অস্থিতিশীলমূলক কার্যক্রম ও দেশটির সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।