জেরুজালেমে ইসরায়েলি পুলিশের হামলায় ২০৫ ফিলিস্তিনি আহত

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮ মে ২০২১, ১১:৫৩

হামলায় আহত একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি : রয়টার্স
জেরুজালেমে আল আকসা মসজিদ ও এর আশেপাশের এলাকায় ইসরায়েল পুলিশের হামলায় অন্তত ২০৫ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত ৮৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেরুজালেমে সংঘর্ষে অন্তত ২০৫ জন ফিলিস্তিনি আর ১৭ জন ইসরায়েলি পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট ইমারজেন্সি সার্ভিস ও ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (৭ মে) জুমাতুল বিদার নামাজ পড়তে লাখো ফিলিস্তিনি আল আকসায় যান। জোর করে ফিলিস্তিনিদের জমি দখল করায় ইসরায়েলি দখলদারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে নামাজে আসা অনেকে সেখানেই অবস্থান করেন। ফিলিস্তিনিদের সাথে শেখ জারারাহের বাসিন্দারা এবং আন্তর্জাতিক সংহতি কর্মীরাও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগ দেন।

ইসরায়েলের সীমান্ত পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জলকামান, টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট এবং শক গ্রেনেড ব্যবহার করে আন্দোলনরত ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, আহতদের চিকিৎসার জন্য তারা সেখানে একটি অস্থায়ী ফিল্ড হাসপাতাল চালু করেছে। রাবার লাগানো ধাতব বুলেটে আহত হওয়ার পর সেখান থেকে অন্তত ৮৮ জন ফিলিস্তিনিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ওই এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে, কারণ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের জন্য পূর্ব জেরুজালেমের বাড়িঘর থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার সম্ভাবনায় প্রতিদিনই কলহ তৈরি হচ্ছে।
ইসরায়েলি পুলিশ দাবি করেছে, সন্ধ্যার নামাজের পর হাজার হাজার ধর্মাবলম্বী দাঙ্গা শুরু করলে তারা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য শক্তি প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে।
আল-আকসার একজন কর্মকর্তা মসজিদের লাউডস্পিকারে সবাইকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনী অবিলম্বে মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ বন্ধ করুন। তরুণরা শান্ত হোন।
শুক্রবারের সহিংসতার পর সবাইকে উত্তেজনা প্রশমন করার আহবান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। সেইসাথে জেরুজালেমের শাইখ জারাহ এলাকা থেকে উচ্ছেদের হুমকিতে ক্ষোভও বাড়ছে।
জাতিসংঘের এক মুখপাত্র ইসরায়েলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন যেন যেকোনো ধরনের উচ্ছেদের কর্মকাণ্ড বন্ধ করা হয়। তিনি বিক্ষোভকারীদের প্রতি সর্বোচ্চ সহনশীলতা দেখানোরও আহবান জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে গভীর উদ্বেগে রয়েছে ওয়াশিংটন। -বিবিসি, রয়টার্স ও আল জাজিরা