সরকার পরিচালনায় ঐক্যবদ্ধ হামাস-ফাতাহ

যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে গাজায় সরকার পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিনি দল ফাতাহ এবং হামাস। মিসরের কায়রোতে এক বৈঠকে দুই পক্ষই এ নিয়ে ‘নমনীয়তা’ এবং ‘আশাবাদ’ দেখিয়েছে বলে জানিয়েছে মিশরের সংবাদমাধ্যম আল কাহেরা।

আজ রবিবার (৩ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, কমিটির মাধ্যমে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ বিষয়গুলো স্বাধীন তথ্যের মাধ্যেম অন্তভূক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। কায়রোতে আলোচনা ফিলিস্তিনি ঐক্যকে শক্তিশালী এবং গাজাকে পশ্চিম তীর থেকে বিচ্ছিন্ন না করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

গত জুলাই মাসে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এবং তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ফাতাহের মধ্যে ঐক্য আলোচনার আয়োজন করে চীন। ওই আলোচনায় গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরের জন্য ফিলিস্তিনের ঐক্য সরকার গঠনের পদক্ষেপের বিষয়ে সম্মত হওয়ার কথা জানানো হয়। 

২০০৭ সালে সংক্ষিপ্ত লড়াইয়ে পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট মূলধারার ফাতাহ দল হামাসের কাছে গাজার নিয়ন্ত্রণ হারায়। এই লড়াই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে এত গভীর বৈরিতা সৃষ্টি করেছিল যে সেই সংঘাতের চিহ্ন আজও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে।

মূলত ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ফাতাহ হেরে যাওয়ার পর এবং হামাস যোদ্ধারা গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর এই লড়াই শুরু হয়েছিল। ওই সংঘাতের ফলে ফিলিস্তিনের যৌথ সরকারের বিলুপ্তি ঘটে এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে শাসনভার ভাগ হয়ে যায়।বর্তমানে ফিলিস্তিনের দুই অংশ- পশ্চিম তীর ফাতাহ আর গাজা হামাসের শাসনে চলে।  

ফিলিস্তিনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বে হামাসের তেমন গ্রহণযোগ্যতা নেই। কয়েক বছর আগেই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নেসহ পশ্চিমা বিশ্বের অধিকাংশ দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।  অন্যদিকে  মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহের নেতৃত্বাধীন জোট ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (প্যালেস্টাইনিয়ান অথরিটি-পিএ) আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ফিলিস্তিনের বৈধ শাসক হিসেবে স্বীকৃত। তবে ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দলটির নীরব ভূমিকার জন্য তীব্র সমালোচিত। এমনকি ফাতাহকে ইসরাইলের অনুগত মনে করা হয়।

গাজায় গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে কমপক্ষে ৪৩ হাজার ৩১৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল। এতে আহত হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজারের মতো মানুষ। সেদিন হামাসের হামলায় ইসরাইলে আনুমানিক ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি জিম্মি হয়।



সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh