গাজায় ৬ মাসে নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী-শিশু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:২২

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় বিপর্যস্ত পরিবার। ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজায় গত ছয় মাসে নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়। নিজেদের বিশ্লেষণে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সংস্থাটি এ দাবি করেছে। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নিহত মানুষের প্রায় ৪৪ শতাংশ শিশু এবং ২৬ শতাংশ নারী। বেশির ভাগেরই বয়স পাঁচ থেকে নয় বছরের মধ্যে।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহত মানুষের বেশির ভাগেরই পূর্ণাঙ্গ জনতাত্ত্বিক তথ্য সংগ্রহ করেছে তারা। নিহত মানুষের প্রতি তিনজনের একজন শিশু।
গতকাল শুক্রবার (৮ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ব্যাপকভাবে ইসরায়েলের হামলা চালানো এত বেশিসংখ্যক প্রাণহানি হওয়ার পেছনে একটি বড় কারণ। গাজা উপত্যকায় অভূতপূর্ব মাত্রায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। যুদ্ধাপরাধ ও অন্যান্য সম্ভাব্য নৃশংস অপরাধের বিষয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অবশ্য ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে কিছু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে ইসরায়েল বলেছিল, তারা হামাসকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে এবং বেসামরিক মানুষদের ঝুঁকি কমানোর কথা মাথায় রেখে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
বিবিসি গতকালের প্রতিবেদনটি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় নিহত হওয়া ৮ হাজার ১১৯ জন মানুষের বিস্তারিত তথ্য তারা যাচাই করেছে।
সংস্থাটি আরও বলেছে, ভুক্তভোগীদের প্রায় ৮০ শতাংশই আবাসিক ভবন কিংবা একই ধরনের আবাসনব্যবস্থার ওপর হামলার ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যকে নির্ভরযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করে জাতিসংঘ। মন্ত্রণালয়টির হিসাব অনুসারে, গত ১৩ মাসে গাজায় ৪৩ হাজার ৩০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। বোমা হামলায় বিধ্বস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষের নিচে আরও অনেক মরদেহ চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।