পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালালে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি ইরানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:২২

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। ছবি: সংগৃহীত
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল যেকোনো ধরনের হামলা চালালে আঞ্চলিকভাবে সর্বাত্মক যুদ্ধ বেধে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি।
আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
কাতার সফরের সময় আল জাজিরা অ্যারাবিককে সাক্ষাৎকারটি দেন আরাগচি। তিনি বলেন, ‘ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালানোটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ঐতিহাসিক একটি ভুল হবে।’
আরাগচি আরও বলেন, ‘যেকোনো হামলার জবাব তাৎক্ষণিক ও চূড়ান্তভাবে দেওয়া হবে।’
এর মধ্য দিয়ে অঞ্চলটিতে সর্বাত্মক যুদ্ধ বেঁধে যাবে বলেও হুঁশিয়ার করেন আরাগচি।
দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালানোর জন্য শক্তি জোগাতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে ইরান।
এর মধ্যেই আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান বিন জসিম আল থানির সঙ্গে দোহায় বৈঠক করেন আরাগচি।
গতকাল শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে আরাগচি বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে কাতারের মধ্যস্থতাকে আমরা অত্যন্ত সাধুবাদ জানাই। আশা করি অন্য সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
কাতারে অবস্থানকালে হামাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এসময় আরাগচি বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েলের বিধ্বংসী যুদ্ধের পরও ফিলিস্তিনিরা গাজায় বিজয় অর্জন করেছে।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং ২ শতাধিক মানুষকে জিম্মি করা হয়। জবাবে একই দিন থেকে গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামলায় এই পর্যন্ত ৪৭ হাজার ৪০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
১৫ মাসের বেশি সময়ের যুদ্ধে গাজা উপত্যকা অনেকটাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার একটা বড় অংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।