Logo
×

Follow Us

সংগীত

‘ভাইরালের চিন্তা করে গান না করাই উত্তম’

Icon

এন ইসলাম

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৬

‘ভাইরালের চিন্তা করে গান না করাই উত্তম’

কণ্ঠশিল্পী শাহ্ হামজা। ছবি: সংগৃহীত

কণ্ঠশিল্পী শাহ্ হামজা। নব্বই দশকের ব্যান্ড যুগে তিনি ‘হামজা’ নামে পরিচিত ছিলেন। ১৯৯১ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে, তিনি বন্ধুদের সঙ্গে তার প্রথম ব্যান্ড গঠন করেন। ব্যান্ডটি ওয়েস্টার্ন এবং ইস্টার্ন ব্যান্ড মিউজিক কাভার করত। ঢালিউড ২০০৭ এবং বাংলাদেশ মিউজিক ড্যান্স অ্যাওয়ার্ড ২০০৭ সালে বেস্ট সিঙ্গার আওয়ার্ড পেয়েছিলেন তিনি।

এরপর ২০০৯, ২০১১, ২০১২ এবং ২০১৩ সালে তিনি সেরা গায়ক এবং সেরা ব্যান্ড গায়ক হিসেবে ৪টি ভিন্ন পুরস্কার পেয়েছিলেন। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে প্রকাশ হয় তার ‘যে স্মৃতি’ শিরোনামের একটি গানের মিউজিক ভিডিও। এতে তার সঙ্গে আরও কণ্ঠ দিয়েছেন ন্যান্সি।গান ও সমসাময়িক নানা বিষয়ে কথা হলো তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এন ইসলাম

আপনার গানের শুরুটা জানতে চাই।
আমার প্রথম ওস্তাদ ছিলেন ‘ওস্তাদ ইন্দ্রমোহন রাজবংশী’। তিনি আমাকে সঙ্গীতের মৌলিক শিক্ষা এবং বিভিন্ন ধরনের বাউল, ভাটিয়ালি, মাইজভাণ্ডারী এবং লালন গীতি শিখিয়েছিলেন। আমার ২য় শিক্ষক গিটারের জগতে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি হলেন ওস্তাদ নিলয় দাস (বাংলাদেশের প্রয়াত ধ্রুপদী গিটারিস্ট এবং একক গায়ক) আমার শেষ শিক্ষক ছিলেন ওস্তাদ আখতার সাদমানি। তিনি আমাকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিখিয়েছিলেন এবং সুফি সঙ্গীত। 

ক্যারিয়ারের সুসময়ে দেশ কেন ছাড়লেন?
১৯৯৫ সালে ‘ডোরিয়ান’ নামে একটি ব্যান্ড করি। এটি নিয়েই অনেক দিন ব্যস্ত ছিলাম। এর মধ্যে ১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশ ছাড়ি। সেখানে জ্যাজ মিউজিকোলজিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করি। এবং বছরের পর বছর ধরে ইয়র্ক কলেজ জ্যাজ ফ্যাকাল্টির সঙ্গে সঙ্গীত শুরু করি। এর পরে সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েট ডিগ্রিতে মিউজিক ইলেকট্রনিক টেক-এ ৩য় ডিগ্রি সম্পন্ন করি।

দেশের বাইরে কী গান করতেন?
২০০৮ সালের জানুয়ারিতে ‘হামজা’ এবং ‘নতুন’ নামে একটি ব্যান্ড প্রতিষ্ঠা করি। এ ব্যান্ডটি নিয়ে আমেরিকার বিভিন্ন অংশে প্রচুর শো করেছি।

দেশের বাইরে প্রবাসী শিল্পীদের গান করার কেমন সুযোগ থাকে?
বাংলাদেশ থেকে অনেক জনপ্রিয় শিল্পী বিভিন্ন দেশে গান করতে যান এটি সত্যি। কিন্তু প্রবাসে যারা নিয়মিত গান করেন তাদের জন্য দেশের শিল্পীদের মতো শো করা অনেক কঠিন। প্রবাসীরা বাংলাদেশ থেকে জনপ্রিয় শিল্পীদের নিয়ে থাকেন। আর সেখানে যারা নিয়মিত গান করেন তাদের জন্য এমন প্ল্যাটফরম থাকে না। সেখানে শিল্পীরাই শ্রোতা, আবার অনেক শ্রোতাই শিল্পী। 

এ সময়ের গান নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
এখন গান প্রকাশ করার জন্য অনেক প্ল্যাটফরম আছে। দেশীয় প্ল্যাটফরমগুলোর বাইরে আন্তর্জাতিক অনেক অ্যাপস নিয়মিত গান প্রকাশ করছে। এদিক থেকে শিল্পীরা বিভিন্ন দেশের শ্রোতাদের সঙ্গে গান শেয়ার করার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে আমাদের গানের কথা ও সুরের দিকে আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে। শুধু ভাইরালের চিন্তা করে গান না করাই উত্তম।

ব্যান্ডের বাইরে একক ক্যারিয়ার নিয়েও কাজ করছেন। এটি নিয়ে বলুন।
আমার দুটি একক, একটি ব্যান্ড এবং একটি মিশ্র অ্যালবামসহ মোট ৪টি অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে। আর সেগুলো হলো, ‘নীরব বেদনা’, ‘যে কথা বলা হয়নি’, ‘এক আমি’ এবং ‘পাগল’। এর বাইরে আমার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ২০২২ সালে ‘ভেজা চোখ’ নামে একটি মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করেছি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫