
সঙ্গীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল ও তার স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
মদ্যপ অবস্থায় মঞ্চে গান গাইতে ওঠে মাতলামি ও অসংলগ্ন আচরণের কারণে দর্শক-শ্রোতাতের হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন তরুণ সঙ্গীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল। এসময় উত্তেজিত লোকজন মঞ্চে জুতা ও পানির বোতল নিক্ষেপ করে। পরে সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ঘটনার ভিডিও নিয়ে শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা।
এমন সময় বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। এ প্রসঙ্গে তিনি সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন নিজের প্রতিক্রিয়া। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, নোবেলকে শোধরানোর কম চেষ্টা করেননি তিনি।
আজ শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) নিজের ফেসবুকে সালসাবিল লিখেছেন, ‘সকাল থেকে শুরু করে ডজনখানেক নিউজ। সমস্যাটা যদি শারীরিক হতো হয়তোবা মানুষ কমেন্টে দেওয়ার মাহফিল বসাত। কিন্তু সমস্যাটা মানসিক তাও আবার মাদকঘটিত। যে রকম মানুষ নোবেল কোনো দিনই প্রথম থেকে ছিল না। এটা আমার নিজেরই দীর্ঘদিনের দেখা। শোয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি দাঁড় করিয়ে নোবেলের নামাজ পড়া। সা রে গা মা পা চলাকালীন পুরো শুটিং ইউনিটকে বসিয়ে রেখে নামাজ পড়া আর সবার সঙ্গে অমায়িক ব্যবহার।’
এরপর তিনি লেখেন, ‘সে মানুষটা এখন নিজের কার্যকলাপে নিজেই নিজেকে চিনতে পারে না। নিজের নিরহংকার রূপকে ঢেকে পরিবার ও ভক্তবৃন্দদের কাছে নিজের অস্বাভাবিক রূপ প্রকাশের দীর্ঘ প্রচেষ্টা।’
এদিকে সালসাবিলের পোস্টের মন্তব্যের ঘরে নিজেদের মতপ্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা। তার পরিচিত একজন মনে করছেন নোবেলকে শোধরাতে সালসাবিলই পারবেন।
তিনি লিখেছেন, ‘তুমি ছাড়া কেউ ওকে ঠিক করতে পারবে না।’ উত্তরে সালসাবিল লেখেন, ‘কম চেষ্টা করিনি।’

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছরপূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছিল এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। সেখানে গান গাইতে আমন্ত্রণ জানানো হয় নোবেলকে।
স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, নোবেলের মঞ্চে ওঠার কথা ছিল রাত ৯টায়। কিন্তু তিনি গান গাইতে ওঠেন রাত ১১টা ২০ মিনিটে। সেই সময় মদ্যপ ছিলেন নোবেল। গান গাওয়ার একপর্যায়ে শুরু করেন মাতলামি ও অসংলগ্ন আচরণ।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন উপস্থিত দর্শক-শ্রোতারা। নোবেলের এমন আচরণের উত্তরে তারা জুতা ও পানির বোতল ছুড়ে মারতে থাকেন তাকে লক্ষ্য করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অবশেষে আয়োজকরা মঞ্চ থেকে নামিয়ে নেন তাকে।