
সংগীতশিল্পী হিমাদ্রিতা পর্ণা।
সংগীতশিল্পী হিমাদ্রিতা পর্ণা। দেশে-বিদেশে স্টেজ শো নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করেন তিনি। তবে বর্তমানে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশেই আছেন বলে জানান। এর মধ্যে একসঙ্গে নতুন পাঁচটি গানের কাজও করছেন এ কণ্ঠশিল্পী। গান-পূজা ও নানা বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এন ইসলাম...
এবারের পূজা নিয়ে পরিকল্পনা কী?
আমাদের মহালয়া থেকেই পূজার উৎসব শুরু হয়। তবে ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী দিনগুলোতে সবার আয়োজন থাকে অন্যরকম। বিশেষ করে অষ্টমীতে আমাদের অঞ্জলি নিতে হয়। গেল বছর আমি পূজার সময় সিঙ্গাপুরে ছিলাম। সেখানে পূজার প্রতিটি দিন শোতে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। তাই এবার পরিবারের সঙ্গে পূজা কাটানোর জন্য কোনো শো রাখিনি।
আপনার গানের শুরুটা কীভাবে?
সংগীত পরিবারেই আমার জন্ম। আমার ঘুম ভাঙত তবলার আওয়াজে। এজন্য বলতে হয় রক্তেই আমার সংগীত মিশে আছে। এছাড়া বাবার হাতে ছোটবেলায় গানের হাতেখড়ি হয়েছে। আমার সংগীতগুরু হলেন অনিল কুমার সাহা। তার কাছে আমি উচ্চাঙ্গ সংগীতের তালিম নিয়েছি।
স্টেজে কী ধরনের গান গাইতে পছন্দ করেন?
স্টেজে ফোক-পুরনো দিনের গান করতে ভালো লাগে। এছাড়া অনেক সময় দর্শকের ওপর নির্ভর করে গান নির্বাচনের বিষয়টি। কোন শ্রেণির দর্শক গান শুনবেন সেটার ওপর ঠিক করি কোন ধরনের গান করব।
নতুন গানের খবর কী?
আমি পাঁচটি মৌলিক গানের কাজ করছি। এর মধ্যে গানগুলোর অডিওর কাজ শেষ হয়েছে। এগুলো মিউজিক ভিডিও আকারে প্রকাশ করব। গানগুলোতে আমি কুমার শানু, উদিত নারায়ণ, নচিকেতা, জাবেদ আলি ও শানের সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছি। বোম্বেতে এগুলোর কাজ করছি।
এখন শিল্পীর ফলোয়ার ও গানের ভিউয়ের ওপর জনপ্রিয়তা মাপা হয়। এটিকে কীভাবে দেখছেন?
প্রকৃত শিল্পীরা সস্তা কাজ দিয়ে ভাইরাল হতে চায় না। আবার গানে অনেক ভিউ হলেই গান ভালো হয়েছে এটাও বিশ্বাস করি না। ইউটিউবে দর্শক অনেক কিছুই দেখে। তাই বলে আমি নিজের কোয়ালিটি নষ্ট করতে পারি না। আমি ভালো শিল্পী হয়ে বাঁচতে চাই। নিজের কাছে যে গানটি ভালো মনে হবে সেটিই করব।
প্লেব্যাকে ব্যস্ততা কেমন?
আমি অনন্য মামুনের ‘রেডিও’ সিনেমাতে একটি গান করেছি। এরপর নতুন কোনো সিনেমায় গাওয়া হয়নি। তবে এর মধ্যে কয়েকটি সিনেমার গানে কণ্ঠ দেওয়ার প্রস্তাব পেয়েছি। পূজার পর সেগুলো চূড়ান্ত করব।