
মনি কিশোর। ছবি: সংগৃহীত
নব্বই দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনি কিশোর। তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘কী ছিলে আমার’, ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
শনিবার রাতে রামপুরা টিভি সেন্টার
রোডের ৩৩৫ নম্বর বাড়ির একটি ফ্লাটে পুলিশ কর্মকর্তারা তার মরদেহ উদ্ধার করেন। ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে তার মৃত্যর
নিশ্চিত কারণ। তবে এর মধ্যে জানা গেল তার মরদেহ কী করতে হবে সে বিষয়টি।
অনেকেরই অজানা, নব্বই দশকের শুরুতে বিয়ে করেন মনি কিশোর। বিয়ের সময়ই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। সে হিসেবে তার মরদেহের দাফন করা হবে বলে জানালেন ভাই অশোক কুমার। তিনি জানালেন, মনি কিশোর বেঁচে থাকা অবস্থায় তার দাফনের বিষয়টি একমাত্র মেয়ে নিন্তিকে জানিয়েছিলেন।
অশোক কুমার বললেন, ‘মেয়ে আমার বড় ভাইকে জানিয়েছে, তার বাবাকে যেন দাফন করা হয়। এটি নাকি ওর বাবা ওকে বলে গিয়েছিল। মেয়েকে যেহেতু বলে গিয়েছে, তাই তার ইচ্ছামতো দাফনের কাজটাই করা হবে। এটি নিয়ে আমরা অন্য কোনো ধরনের সিদ্ধান্তে যাব না।’
কোথায় দাফন করা হবে, জানতে চাইলে অশোক কুমার মণ্ডল বললেন, ‘আমাদের সেভাবে কোনো চাওয়া নেই। আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এরপর ওরাই সিদ্ধান্ত নেবে, কোথায় মরদেহ দাফন করা হবে। থানা থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে শুনেছি। মেয়ে শুধু এটুকু বলেছে, ওর বাবাকে যেখানে কবর দেওয়া হচ্ছে, সেখানে যেন একটা চিহ্ন রাখা হয়।’
পুলিশ কর্মকর্তা বাবার সাত সন্তানের মধ্যে মনি কিশোর চতুর্থ সন্তান। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভাই মারা গেছেন। দেড় যুগ আগে মনি কিশোরের সঙ্গে তার স্ত্রীর বিচ্ছেদ হওয়ার পর থেকে একা থাকতেন। তার একমাত্র মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। নড়াইল জেলার লক্ষ্মীপুরে মামাবাড়িতে ১৯৫৮ সালে জন্ম মনি কিশোরের।