নব্বই দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে তার পরিবার থেকে। মনির মেয়ে দেশে ফিরলেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসবে। এরপর মরদেহ দাফন কিংবা শশ্মানে নেওয়া হবে।

এর আগে শনিবার রাতে রামপুরা টিভি সেন্টার রোডের ৩৩৫ নম্বর বাড়ির একটি ফ্লাট থেকে পুলিশ শিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা, ৩/৪ দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে তার।

এদিকে গতকাল থেকে রটে যায়, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেবে, কোথায় মরদেহ দাফন করা হবে।

এ সংবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় সংগীতাঙ্গনের অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিকে মনি কিশোরের অসংখ্য গানের গীতিকার ও সুরকার মিল্টন খন্দকার বলেন, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে মনি কিশোরের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে না। পারিবারিক সিদ্ধান্তে তার লাশের শেষ ব্যবস্থা করা হবে। মনির মেয়ে দেশে ফিরলেই পারিবারিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পারিবারিক সিদ্ধান্তেই দাফন বা শশ্মান করা হবে।’

নব্বই দশকের শুরুতে বিয়ে করেন মনি কিশোর। তবে দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটায় ওই বাসায় একা থাকতেন মনি কিশোর।

বিয়ের সময়ই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন মনি কিশোর। সে হিসেবে তার মরদেহের দাফন করা হবে বলে জানালেন ভাই অশোক কুমার।

মনি কিশোরের জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘কী ছিলে আমার’, ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।