
রেশমি মির্জা। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস ইউএসএ ইনক এর সঙ্গে যুক্ত হলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী রেশমি মির্জা। তিনি সংস্থাটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন।
সম্প্রতি (২০ অক্টোবর) নিউইয়র্কের উডসাইড কুইন্স প্যালেসে অনুষ্ঠিত কনভেনশনে সংগঠনের পক্ষ থেকে মানবাধিকার রক্ষায় ভূমিকা রাখার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তিকে সম্মাননা সনদ দেওয়া হয়। এ সময় শিল্পী রেশমীকে সম্মাননা প্রদানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক এ সংস্থায় পদায়ন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন শিল্পী নিজেই।
কনভেনশনে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনপ্রতিনিধি ও মানবাধিকারকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই মানবাধিকার সংগঠনটি বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
মানবাধিকার সংস্থাটির বিশেষ দায়িত্ব গ্রহণ প্রসঙ্গে রেশমি বলেন, সংগীতের মধ্য দিয়ে মানুষের মাঝে শান্তির বার্তা পৌঁছে দেয়াই একজন শিল্পীর কাজ। আমাদের বর্তমান অশান্ত পৃথিবীতে এই শান্তিটুকু এখন খুব প্রয়োজন। সবারই উচিত নিজ কাজের বাইরেও সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সমাজের প্রতি,পৃথিবীর প্রতি দায়িত্ব পালন করা। আন্তর্জাতিক এ প্লাটফর্মটির মধ্য দিয়ে দেশের ও বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের কল্যানে যদি নিয়োজিত হতে পারি একজন শিল্পী হিসেবে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে।
ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস ইউএসএ ইনকের সভাপতি ড. রফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি মেম্বার স্টিভেন রাগা, কাউন্সিলর মেম্বার সুসান ঝুয়াং, প্রফেসর ড. রঞ্জন থাপালিয়া, টারকুইস হাকসিন, জপসিত সিং, অ্যাসেম্বলি মেম্বার প্রার্থী ব্রাডন ক্যাস্ট্রো, সিবেনা শংকর, সেরিশ ওয়াকার, নবরাজ কেসি, মেহরিবান নসিব, ম্যাগদালিনা কুলিজ, মোহাম্মদ তারিক, ইউগেনিয়া রাম, গুগু মারাখি, স্যান্ড্রা পেরেজ, আজিজ ভাট ও এরভিন আপাদু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বহির্বিশ্বে সর্বাধিক জনপ্রিয় ও প্রাচীন সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’র সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম. এম. শাহীন।
মিউজিক প্লাটফর্ম উইন্ড অব চেঞ্জ এ ‘কমলায় নৃত্য করে’-গানটির মধ্য দিয়ে শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন রেশমি। টিএম রেকর্ডসের ব্যানারে প্রেমের লাড্ডু গানটিও কনসার্টে শ্রোতাদের চাহিদার শীর্ষে থাকে বলে জানালেন এ শিল্পী।