
বেবী নাজনীন। ছবি: সংগৃহীত
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন। সংগীত জগতের পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তিনি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বেবীকে দীর্ঘ আট বছরের প্রবাস জীবন কাটাতে হয়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন তিনি।
নতুন প্রজন্মের অনেকেই জানেন না এই সংগীত শিল্পীর ক্যারিয়ারে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান কতটুকু। বেবী নাজনীন জানালেন সেই কথা।
তিনি বলেন, ‘রংপুর থেকে আমার ঢাকায় আসার গল্পটা অন্য রকম। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তখন উত্তরবঙ্গে খাল কাটতে গেছেন। খালকাটা কর্মসূচি চলছিল। উনি উলিপুর-কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় খাল কাটা কর্মসূচি শেষ করে রংপুরে এসেছেন। তার সম্মানার্থেই আয়োজন করা হয় সংগীত অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে আমি গান গাই। আমার গান শুনে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুগ্ধ হন। এরপর বলেন, তোমাকে বড় শিল্পী হতে হবে। তোমার রংপুরে থাকলে চলবে না। এখানে থাকলে তুমি বড় শিল্পী হতে পারবে না। এরপর তিনি আমাকে ঢাকায় নিয়ে এলেন। যদিও আমি আরও আগে জাতীয় পুরস্কার নিতে ঢাকায় এসেছি, তবে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাকে ঢাকায় নিয়ে এলেন স্থায়ীভাবে।‘
রাজনীতি নিয়েও বেবী নাজনীন কথা বলেন। তার ভাষ্য, ‘আমি গানের
মানুষ। আবার যারা অনেক মানুষকে বিনোদিত করতে পারে, তাদের এক ধরনের দায়বদ্ধতাও তৈরি
হয়। সেই দায়বদ্ধতা হলো তাদের জন্য কিছু করা। আর এজন্য কিন্তু একটা প্ল্যাটফর্ম দরকার
হয়। সেটাই হলো রাজনৈতিক। আমার রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম হলো জাতীয়তাবাদী দল। আমি মানুষের
জন্য আবার গান করব, আবার মানুষের সেবার জন্যও নিজেকে নিয়োজিত করব। আমি দেশে ফিরেছিই
আমার মানুষের কথা ভেবে, আমি তাদের পাশে আছি, গানে ও প্রাণে।’