
আসিফ আকবর। ছবি: সংগৃহীত
বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবর। দেশের যে কোনো ইস্যুতে তিনি এগিয়ে আসেন। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনেও তিনি দারুণ ভূমিকা পালন করেন। ৫ই আগষ্ট স্বৈরাচার সরকার পতনের পর বর্তমান সরকারকেও সাধুবাদ জানান এ তারকা। একইসঙ্গে বলেন সরকারের ১শ দিন হলেই আলোচনা ও সমালোচনা শুরু করবেন তিনি। এরইমধ্যে সরকার ১শ দিন পার করলেন। আসিফও তার কথা রাখলেন।
আজ সকালেই অন্তবর্তী সরকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিজের ফেসবুকে একটি
পোস্ট করেন। সেখানে তিনি জানান, ‘মিডিয়ায় বলেছিলাম অন্তবর্তী সরকারের একশো দিন পূর্ণ না হলে আলোচনা/ সমালোচনায় যাবনা। নতুন সরকারকে একশো দিন সময় দেয়া একধরনের সৌজন্যতা। আমার তরফ থেকে সৌজন্যতা শেষ, এখন থেকে ভালমন্দ লিখতে হবে, পুরনো অভ্যাস।’
এরপরেই আইন উপদেস্টা ড. আসিফ নজরুল ও ক্রীড়া উপদেস্টা আসিফ মাহমুদকে কুমিল্লার সন্তান
ও সরকারের প্রভাবশালী সভাসদ দাবী করে অভিনন্দন জানান। একইসঙ্গে তাদের কাছে কয়েকটি
প্রশ্নও রাখেন আসিফ। শুরুতেই আফিস বলেন, ‘এই মওসুমে বিপিএল ক্রিকেটে কুমিল্লা নেই কেন! এই প্রশ্নের উত্তর তিন নম্বর আসিফ, অর্থ্যাৎ আমার কাছে জানতে চায়, আমি নিজেও জানতে চাই। আসিফ মাহমুদ আপনি এই সহজ ব্যাখ্যাটা দিয়ে দিন প্লীজ। ’
তিনি আরও বলেন, ‘কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি এখনো কেন দেয়া হয়নি! কেন এখনো অনিশ্চয়তা! মূল কমিটি তাহলে কবে হবে? খেলাধুলার ইয়ার ক্যালেন্ডার কিভাবে হবে? এদিকে লোকাল খেলাধুলা বন্ধ হয়ে আছে!’
ড. আসিফ নজরুল, আসিফ মাহমুদ ও আসিফ আকবর
ঢাকার ফুটবল টিমকে কুমিল্লাার স্টেডিয়াম বরাদ্দ দেওয়া নিয়েও
আসিফ সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকার ফুটবল টিমকে কুমিল্লা স্টেডিয়াম বরাদ্দ দেয়ার কারন কি! তারা হোমগ্রাউন্ড বানিয়ে খেলবে আর কুমিল্লার খেলোয়াড়রা থাকবে মাঠের বাইরে, এটা কোন ধরনের যুক্তি! ক্রিকেট মওসুম শুরু হয়ে গেছে, অথচ মাঠ দখল করেছে ঢাকার ক্লাব ফুটবল দল! কুমিল্লার খেলোয়াড় সৃষ্টিতে মহা প্রতিবন্ধক এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত কেন!’
এ তারকা কুমিল্লাকে বিভাগ করার কথাও জানান। তিনি জানতে
চান, ‘কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়নে বাঁধা কোথায়! অগ্রগতি কতদূর!’
আসিফ তার পোস্টে আরও লেখেন, ‘কুমিল্লা, ফেনী, চাঁদপুর নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া- এই ছয় জেলায় প্রবাসী আধিক্য বেশী। কুমিল্লা এয়ারপোর্ট পুনরায় চালু করার দাবী বহু আগে থেকেই সরব, আপনাদের পদক্ষেপ কি জানতে চাই।’
সবশেষ তিনি কুমিল্লার
বিগত মন্ত্রীদের সমালোচনা করে বলেন, ‘আসলে স্বাধীনতার পরে কুমিল্লা জেলাবাসী বিরাট বিরাট নেতা মন্ত্রী পেয়ে শুধু তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছে, মেডিক্যাল কলেজ আর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কুমিল্লাবাসীর পক্ষ থেকে করা এই জরুরী প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন।’