Logo
×

Follow Us

সংগীত

৩৫ বছর পর ফের জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মাননা আঁখির

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৪৩

 ৩৫ বছর পর ফের জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মাননা আঁখির

আঁখি আলমগীর।

বহুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত নায়ক, প্রযোজক, পরিচালক আলমগীরের সুযোগ্য উত্তরসূরী আঁখি আলমগীর। 

ছোটবেলায় অর্থাৎ, ১৯৮৪ সালে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবার সঙ্গেই প্রয়াত আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘ভাত দে’ সিনেমায় অভিনয় করে শিশু শিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন আঁখি। এরপর আর অভিনয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। 

তবে মা-বাবার উৎসাহে নিজেকে গড়ে তোলেন আঁখি একজন সংগীত শিল্পী হিসেবে। দীর্ঘদিনের সংগীত জীবনের পথচলায় তিনি নিজেকে একজন পূর্ণ সংগীত শিল্পী হিসেবে গড়ে তুলেছেন। 


আজ থেকে ঠিক ২৫ বছর আগে প্রথম দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘বিদ্রোহী বধূ’ সিনেমায় প্লে-ব্যাক করেন। আনোয়ার জাহান নান্টুর সুর সংগীতে সাগর জাহানের সঙ্গে দ্বৈতভাবে প্লে-ব্যাক করেন তিনি। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত দুই শতাধিক সিনেমায় প্লে-ব্যাক করেছেন তিনি। 

সংগীত জীবনে পথ চলতে চলতে উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী রুনা লায়লার প্রথম সুর করা গানেই কন্ঠ দেবার সৌভাগ্য হয় আঁখির। ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আলমগীর পরিচালিত ‘একটি সিনেমার গল্প’তে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা ‘গল্প কথার ঐ কল্পলোকে জানি’ গানে কণ্ঠ দেন। গানটির সংগীতায়োজন করেছিলেন আঁখিরই বন্ধু ইমন সাহা। আর এই গানটির জন্যই শ্রেষ্ঠ সুরকারের পুরস্কার পেলেন রুনা লায়লা এবং শ্রেষ্ঠ সংগীত শিল্পী হিসেবেও পুরস্কার পেলেন আঁখি। 

২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আঁখি এই সম্মাননায় ভূষিত হচ্ছেন। ছোট্টবেলায় অভিনয়ের জন্য এবং বড়বেলায় সংগীতের জন্য ৩৫ বছর পর এই প্রাপ্তিতে ভীষণ উচ্ছ্বসিত তিনি।


আঁখি বলেন, ‘এই সম্মাননায় আমার নামটি ঘোষণা হবার পর আমার বারবার শুধু একটি কথাই মনে হয়েছে যে সঠিক সময়ে আমাকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। অনেকেই বলেছেন আমার আরো আগেই গানে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমার বারবার মনে হচ্ছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের যে ওজন, তা বইবার মতো যে বয়স সেটা আমার এখন হয়েছে। তাই সঠিক সময়েই পাওয়া হলো আমার।’ 

তিনি বলেন, ‘আর শুরুতেই আমি যার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি তিনি আমাদের সবার শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা। আন্টিই মূলত চেয়েছিলেন আমি যেন গানটিতে কণ্ঠ দেই। তার প্রবল উৎসাহের কারণে গানটি গাওয়ার জন্য নিজের ভেতর সাহস সঞ্চয় করেছিলাম। আর আমার বাবা একজন অভিজ্ঞ প্রযোজক, পরিচালক, নায়ক। তার অভিজ্ঞতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই বাবার আগ্রহেও গানটি করা। যথারীতি শ্রদ্ধেয় গাজী মাজহারুল আনোয়ার অসাধারণ গীতিকবিতা লিখেছেন এবং আমার বন্ধু ইমন চমৎকার মিউজিক অ্যারেঞ্জম্যান্ট করেছেন। যে কারণে একটি ভালো গান হয়েছে।’


তিনি আরো বলেন, ‘জনপ্রিয় কিংবা সুপারহিট গান হয়তো নয় এটি। কিন্তু এটি একটি ভালো গান। আর ভালো গানই পুরস্কারের জন্য মূল্যায়িত করা হয়। আমাকে, আমার গানকে, শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা আন্টিকে মূল্যায়ন করা হয়েছে, এটাই আমার অনেক বড় প্রাপ্তি।’ 

উল্লেখ্য, সম্প্রতি আঁখি কলকাতাতেও সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫