Logo
×

Follow Us

সংগীত

বাবার চাওয়া-পাওয়াগুলো ছিল খুব সীমিত: ফাহমিদা নবী

Icon

সব্যসাচী

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২১, ১৪:৩৪

বাবার চাওয়া-পাওয়াগুলো ছিল খুব সীমিত: ফাহমিদা নবী

ফাহমিদা নবী

জুনের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস। দেশের গুণী শিল্পী মাহমুদ-উন নবী। তার সন্তান ফাহমিদা নবী বাবাকে নিয়ে সব্যসাচীর সাথে নানা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন...

মাহমুদ-উন নবী আপনার বাবা, ভাবতে কেমন লাগে?

আসলে বাবার চেয়ে বড় আশ্রয় বন্ধু কোনো সন্তানের নেই। তবে আমি সৌভাগ্যবতী যে, এমন গুণী বাবার সন্তান। আজ আমি যে অবস্থানে আছি যতটা না আমার যোগ্যতা তার চেয়েও আমরা দু’বোন বেশি সম্মান পাই আমার বাবার কারণে। 

বাবার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানতে চাই?

বাবা খুব স্নেহপ্রবণ ছিলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই বাবার সঙ্গে রেওয়াজ করতাম। রেওয়াজের ফাঁকে বাবা যখন সুর বাঁধতেন, তখন বলতেন, ‘এই নুমা, এই গানটা তুলে নে তো দেখি।’ এমনি করে বাবার কত গান তুলে নিয়েছি। স্কুল বেলাতেই বাবার সঙ্গে রেকর্ডিং স্টুডিওতে যেতাম। বাবার বিনয়ী স্বভাবের জন্য সবাই তাকে খুব পছন্দ করতেন। তারা বলতেন, নবী ভাই, আপনি যা বলেন সেটাই হবে। বাবার জন্য মানুষের এত ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ হয়ে যেতাম।

প্রথম কবে গান করেছিলেন বাবার সঙ্গে? 

রেডিওতে বাবার সুরে প্রথম গান করেছিলাম। বছরটি মনে নেই। তবে বিটিভির ‘মালঞ্চ’ অনুষ্ঠানের কথা মনে আছে। ১৯৭৮ সালের কথা। একজন শিল্পীর পাঁচটি গান নিয়ে এ অনুষ্ঠানে বাবার সঙ্গে প্রথমবারের মতো পারফর্ম করি। বাবার সঙ্গে গেয়েছিলাম ‘আয় খুকু আয়’ এবং ‘দুই চোখে মেঘ জমেছে’ গান দুটি। এরপর বাবার সংগীতায়োজনে আরও একটি অনুষ্ঠানে গান গেয়েছিলাম। এরপর টিভি ও রেডিওতে নিয়মিত হয়ে পড়ি।


গানের ভুবনে বাবার প্রভাব কেমন?

গাইতে গাইতে একসময় আমার মনে হলো, আমি শুধু গান করব। অন্যকিছুতেই আমার মন বসে না। বাবা জানতে পেরে আমার জন্য গুরুও ঠিক করে দিয়েছিলেন। বাবা কখনো নিজের সিদ্ধান্ত আমাদের ভাইবোনদের ওপর চাপিয়ে দিতেন না। বাবা সবসময় উৎসাহ দিতেন।

গান প্রসঙ্গে বাবার কোন বিষয় আপনাকে মুগ্ধ করেছে বেশি?

বাবার গায়কীর মেলোডি ও উপস্থাপনার ভঙ্গি ছিল অসাধারণ। মাইক্রোফোন ছাড়াই তিনি এমনভাবে গাইতে পারতেন যে মনে হতো, বাবা মাইক্রোফোন নিয়ে গাইছেন। এ ব্যাপারটি খুব কম শিল্পীর মধ্যে দেখেছি আমি। তার কাছ থেকে মেলোডি ব্যাপারটি নিজের মধ্যে ধারণ করেছি। বাবা সবসময় বলতেন, ‘যত বড় মাপের শিল্পী হও, সবসময় বিনয়ী থাকবে।’ বাবার সেই আদেশ এখনো মেনে চলছি।

আপনার বাবা ব্যক্তিজীবনে কেমন ছিলেন?

শিল্পী মাহমুদ-উন নবী ব্যক্তিজীবনে একদমই আলাদা। বাবার চাওয়া পাওয়াগুলো ছিল খুব সীমিত। তিনি জানতেন, তাকে কী করতে হবে।

তার গানগুলো সংরক্ষণে কী উদ্যোগ নিয়েছেন?

বাবার গানগুলো নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম প্রকাশের ইচ্ছা অনেক দিনের; কিন্তু এ অ্যালবামের জন্য স্পন্সর হিসেবে কাউকে পাচ্ছি না। স্পন্সর পেলেই অ্যালবামের কাজ পুরোদমে শুরু করব।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫