২৬ বার ছুরিকাঘাতে ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা, মার্কিন নাগরিক গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:৫৭

হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করা আহমেদ রিহেব নামের শিশুকে একটি বড় সামরিক ছুরি দিয়ে ২৬ বার ছুরিকাঘাত করে জোসেফ এম সিজুবা নামের ৭১ বছর বয়সী ইসরায়েলপন্থী এক মার্কিন নাগরিক। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত ৬ বছর বয়সী এক শিশুকে ২৬ বার ছুরিকাঘাত করে হত্যা ও তার মাকে গুরুতরভাবে জখম করার অভিযোগে ইসরায়েলপন্থী এক মার্কিন নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।
গতকাল রবিবার (১৫ অক্টোবর) শিকাগো শহরতলীর উইল কাউন্টি শেরিফের কার্যালয় থেকে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে বলেছে, “গোয়েন্দারা জানতে পারে যে, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান হামাস ও ইসরায়েলিদের সংঘাত ইস্যুতে ও ধর্মের কারণে হামলাকারী জোসেফ এম সিজুবা নামের ৭১ বছর বয়সী ব্যক্তিটি নৃশংসতার শিকার শিশু ও তার মাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে।”
পুলিশ কর্মকর্তারা গত শনিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে শিকাগো থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার (৪০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি বাড়িতে নৃশংসতার শিকার শিশু ও তার মাকে গুরুতর জখম অবস্থায় খুঁজে পায়।
রবিবার ময়নাতদন্ত অনুসারে, শেরিফের কার্যালয় জানিয়েছে, হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করা আহমেদ রিহেব নামের শিশুকে একটি বড় সামরিক ছুরি দিয়ে ২৬ বার ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল।
মায়ের শরীরে এক ডজনেরও বেশি ছুরিকাঘাতের ক্ষত রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আশা করছে যে তিনি বেঁচে থাকবেন।
এদিকে, গত রবিবার হামলাকারী ইসরায়েলপন্থী ওই মার্কিন নাগরিককে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ঘৃণা ছড়ানো ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর জবাবে গাজার শাসকগোষ্ঠীটিকে ‘মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার’ প্রতিজ্ঞা করে পাল্টা অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে গাজায় জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাবার, পানি ও মানবিক সহায়তা বন্ধের পাশাপাশি অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এর ফলে ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে উপত্যকাটিতে।
তবে, সামগ্রিক পরিস্থিতির জন্য ফিলিস্তিনি ও মুসলিমদেরকেই দুষছেন অনেক পশ্চিমারা। এর বিপরীত চিত্রও আছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড ও কানাডায়। এসব বিক্ষোভে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক হামলা বন্ধের দাবি করা হয়।