নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে রাশিয়া: পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৫, ১৭:০৫

রাশিয়ার সবসময় নাৎসিবাদ, রুশ-বিদ্বেষ ও ইহুদি-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে এক ‘অভেদ্য দেওয়াল’ ছিল এবং ভবিষ্যতেও এসবের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।
রাজধানী মস্কোয় বার্ষিক সামরিক কুচকাওয়াজে ভাষণ দিতে গিয়ে শুক্রবার এমনটাই বলেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এ বছরের এই আয়োজনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত বিজয়ের ৮০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হচ্ছে।
রাশিয়া টুডেতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ভাষণে পুতিন আরও বলেন, “আমরা এসব ধ্বংসাত্মক আদর্শ প্রচারকারীদের দ্বারা সংঘটিত নৃশংসতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব। সত্য ও ন্যায় আমাদের পক্ষে।”
এ সময় ইউক্রেন ও রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ নিয়ে তিনি বলেন, “কিয়েভের শাসকদের বিরুদ্ধে যে সামরিক অভিযান চলছে, তাতে অংশ নেওয়া সেনাদের প্রতি গোটা দেশের সমর্থন রয়েছে।”
মস্কো দীর্ঘদিন ধরে কিয়েভ সরকারকে নাৎসি মতাদর্শে বিশ্বাসী বলে অভিযুক্ত করে আসছে।
পুতিন উল্লেখ করেন, রাশিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শিক্ষা মনে রাখে। তাই সেই সময়কার সংঘটিত নৃশংসতাগুলোর পুনরাবৃত্তি হতে দেবে না।
তিনি বলেন, “আমাদের সবার আনন্দ ও বেদনা, গর্ব ও কৃতজ্ঞতা, সেই প্রজন্মের প্রতি শ্রদ্ধা দ্বারা একত্রিত। যারা লাখো প্রাণের বিনিময়ে নাৎসিবাদকে পরাজিত করে মানবজাতির জন্য স্বাধীনতা ও শান্তি এনেছিল।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এই বিজয়গাঁথার স্মৃতি বিশ্বস্তভাবে লালন করি এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের মতোই এই দিনটিকে নিজেদের উৎসব হিসেবে উদযাপন করি। যা পুরো জাতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন তারা পিতৃভূমিকে রক্ষা করেছেন এবং আমাদের ওপর তা রক্ষার দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের পক্ষে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেওয়া।”
তিনি অঙ্গীকার করেন যে রাশিয়া এসব নীতিমালা ধরে রাখবে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এ বছর মস্কোর সামরিক কুচকাওয়াজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংস্থা – যেমন এফএসবি, জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয় এবং ন্যাশনাল গার্ড মিলিয়ে ১১ হাজার ৫০০ এর বেশি সেনা অংশ নিয়েছে।
চীন, বেলারুশ, মিশর, ভিয়েতনাম ও কাজাখস্তানসহ ১৩টি দেশের ইউনিট রেড স্কয়ারে কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছে।
এই আয়োজনে ২৯টি দেশের নেতা উপস্থিত রয়েছেন।
আর্মেনিয়া, ইসরায়েল, মঙ্গোলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রবীণরা সম্মানিত অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছেন।