প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
বাগযুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মার্কিন রাজনীতি

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২০, ১৬:২০

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে সময় যতো গড়াচ্ছে ততোই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন। বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছেন রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী হিসেবে লড়াই করবেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলকে অন্ধকার যুগ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, জন্মভূমির জন্যই কোনো টান নেই বাইডেনের, তাই যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নির্মাণ বাইডেনকে দিয়ে সম্ভব নয়।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে- যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে পাল্টাপাল্টি সমালোচনা আর দোষারোপের রাজনীতি শুরু হয়েছে। বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটের জাতীয় ভার্চুয়াল কনভেনশনের চার দিনে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন, সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স, স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিসহ ডেমোক্র্যাট নেতারা স্বাস্থ্য খাতে ব্যর্থতা, চাকরির বাজারের মন্দা, কৃষ্ণাঙ্গদের সমঅধিকার দাবিতে সরব হয়েছেন।
এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে ব্যঙ্গও করেছেন টিকটক স্টার ও মার্কিন কমেডিয়ান সারা কুপার।
ভার্চুয়াল সম্মেলনের শেষ দিনে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন সমাপনী বক্তব্য দেন। তিনি রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, ট্রাম্পের শাসনামলের পুরোটাই অন্ধকার যুগ।
জো বাইডেন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট কোনো দায়িত্বশীল আচরণ করেননি। এমনকি সামনে থেকে নেতৃত্বও দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। উনি কেবল অন্যকে দোষারোপ করে পার পেতে চেয়েছেন। তাঁর মনোবৃত্তি স্বৈরাচারের মতো। ঘৃণা ছড়ানো আর বিভক্তির মধ্য দিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করে গেছেন। ঘুম থেকে উঠেই তিনি নিজেকে নিয়ে ভাবেন। আমাদের নিয়ে ভাবার সময় তাঁর হয়নি। এমন প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রে কখনো চায়নি।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও জো বাইডেনের জন্মস্থান পেনসিলভানিয়ার নির্বাচনী সমাবেশে গিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘বাইডেন তাঁর জন্মস্থান পেনসিলভানিয়ায় থাকেননি। ছিলেন খুব অল্পকাল। তাই এখানের কিছুই জানেন না তিনি। ওয়াশিংটনে অর্ধশতক কাল ধরে বসবাস করে দেশ বিক্রি করা ছাড়া কিছুই করেননি বাইডেন। দেশের চাকরির বাজার মেক্সিকান আর চীনাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। মার্কিনিদের রুটি-রুজি চুরি করেছেন। আর এখন এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাগ্য পরিবর্তন করতে। পুরোটাই হাস্যকর।’