যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম দিকে পাওয়া অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ডা ট্রাম্প থেকে এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন।

গতকাল মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত মার্কিন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর এখন ফলের অপেক্ষায় সময় গুনছেন দুই প্রার্থী।

মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির প্রজেকশন অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ইলেকটোরাল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন। তার সম্ভাব্য ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ২০৯ টি। বিপরীতে ট্রাম্পের সম্ভাব্য ভোট ১১৮টি।

তবে এখনো বলা যাচ্ছে না, কে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন। হোয়াইট হাউসে যাওয়ার দৌড়ে ব্যাটেলগ্রাউন্ড বলে পরিচিত এখানকার অনেকগুলো অঙ্গরাজ্যের ভোট অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

নির্বাচনে জিততে হলে ট্রাম্পকে ফ্লোরিডা ও জর্জিয়ায় জিততেই হবে। ফ্লোরিডায় ইলেকটোরাল কলেজের ভোট রয়েছে ২৯টি। এই দুটি রাজ্যে জয় পাওয়াটা বাইডেনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাইডেন যদি এ দুই অঙ্গরাজ্যের অন্তত একটিতে জিততে পারেন, তাহলে হয়তো বেশ আগেভাগেই তার প্রেসিডেন্ট হওয়া নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে।

অন্যদিকে যদি ট্রাম্প এ দুই অঙ্গরাজ্য নিজের হাতে রাখতে পারেন- তাহলে পর্যবেক্ষকদের নজর ঘুরে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর, নর্থ ক্যারোলাইনা ও মধ্য-পশ্চিমের শিল্পকারখানা-সমৃদ্ধ রাজ্যগুলোর দিকে।

অ্যালাবামা (৯), আরকানসাস (৬), ইন্ডিয়ানা (১১), কেন্টাটি (৮), লুইজিয়ানা (৮), মিসিসিপি (৬), নর্থ ডাকোটা (৩), ওকলোহোমা (৭), সাউথ ডাকোটা (৩), টেনেসি (১), ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া (৫) ও ওয়েমিং (৩) অঙ্গরাজ্যে প্রাথমিকভাবে জয় পেয়েছেন ট্রাম্প।

অন্যদিবে বাইডেন কানেকটিকাট (৭), ডেলওয়ার (৩), ডিসট্রিক্ট অব কলম্বিয়া (৩), ইলিনয় (২০), ম্যারিল্যান্ড (১০), ম্যাসাচুসেটস (১১), 

নিউ জার্সি (১৪), নিউইয়র্ক (২৯) রোড আইল্যান্ড (৪), ভারমন্ট (৩), ভার্জিনিয়া (১৩) ও ক্যালিফোর্নিয়া (৫৫) অঙ্গরাজ্যে প্রাথমিকভাবে জয় পেয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিততে গেলে চাই ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজের মোট ভোটসংখ্যা ৫৩৮।

২০১৬ সালের নির্বাচনের যে ফলাফল এসেছিল, সেটির বিচারে এসব রাজ্যের কোনোটিরই ফলাফল রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাটদের কাছ থেকে হাতবদল হয়নি। কিন্তু ব্যাটেলগ্রাউন্ড বলে পরিচিত রাজ্যগুলোর ফলাফল সম্পর্কে এখনো কোনো পূর্বাভাস পাওয়া যায়নি, যেসব রাজ্যের ভোট জয়-পরাজয় নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।