Logo
×

Follow Us

উত্তর আমেরিকা

টর্নেডোয় লণ্ডভণ্ড কেন্টাকি অঙ্গরাজ্য, শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:৫০

টর্নেডোয় লণ্ডভণ্ড কেন্টাকি অঙ্গরাজ্য, শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা

টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড মেফিল্ডের একটি বাড়ি। ছবি : রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্য ৩৬৫ কিলোমিটার বেগের এক টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এখনও পর্যন্ত ৭০ জনের বেশি প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। তবে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 স্থানীয় সময় গত শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে টর্নেডোটি অঙ্গরাজ্য জুড়ে আঘাত হানে। 

কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বিশির বলেন, একটি মোমবাতির কারখানায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে। টর্নেডোটি ওই কারখানাটিতে সরাসরি আঘাত হানার পর সেটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।

মোমবাতি কারখানাটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে

মেফিল্ড শহরের ওই কারখানাটির ধ্বংসস্তুপের মধ্যে জীবিতদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। এ পর্যন্ত কারখানাটি থেকে ৪০ জনের মতো জীবিত উদ্ধার করেছে। টর্নেডোতে উদ্ধারকর্মী সংস্থার যন্ত্রপাতি, পুলিশ স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

কেন্টাকির গভর্নর বলেন, টর্নেডোর আঘাতে যা ঘটেছে তা বর্ণনা করা কঠিন। এরকম দৃশ্য আমি কখনও প্রত্যক্ষ করিনি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে- ৩৬৫ কিলোমিটার বেগের টর্নেডোটির গতিপথের যা ছিল সবই যেন উপড়ে গেছে।


টর্নেডোতে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিসৌরি, আরকানসা, ইলিনয়, টেনেসি, মিসিসিপি অঙ্গরাজ্য। এসব অঙ্গরাজ্যে টর্নেডোর আঘাতে ১২ জনের মতো মারা গেছে। অনলাইনভিত্তিক পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের একটি গুদাম ধসে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বিদ্যুৎ ও পানি সংকটে পড়েছে কেন্টাকির হাজার হাজার অধিবাসী।


কেন্টাকির পশ্চিমাংশের মেফিল্ড শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, মেফিল্ডের কেন্দ্রস্থলের পাকা ভবনগুলো ভেঙে পড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, কাছে পার্ক করা গাড়িগুলো ইট ও ধ্বংসাবশেষের নিচে প্রায় চাপা পড়ে আছে। মেফিল্ডের গ্রেভস কাউন্টির আদালত ভবনের ছাদ ভেঙে পড়েছে।

মধ্যরাতের কিছুক্ষণ পর ঝড়ের মধ্যে কেনটাকির পশ্চিমাঞ্চলে একটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে, তবে হতাহতের কোনো খবর হয়নি। 


দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টর্নেডো উপদ্রুত এলাকায় সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, টর্নেডো আক্রান্তদের সহায়তায় সর্বাত্মক চেষ্টা করবে তার প্রশাসন। যাদের বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে তাদের আশ্রয়ের জন্য অস্থায়ী আবাসন তৈরি করা হবে।

শুক্রবার রাতে ধারাবাহিক কয়েকটি বজ্রঝড় থেকে টর্নেডোগুলোর উৎপত্তি হয়। এর মধ্যে আরকানসর উত্তরাঞ্চলে উৎপত্তি হওয়া একটি ‘সুপার সেল’ ঝড়ও ছিল। এই ঝড়টি আরকানস থেকে মিসৌরি, টেনেসি ও কেন্টাকিতে প্রবেশ করে।


যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের ঝড় পূর্বাভাস কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ রজার এডওয়ার্ড বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটি এগিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকটি প্রাণঘাতী টর্নেডো সৃষ্টি করে। এদের মধ্যে একটি সম্ভবত অনেক দূর পর্যন্ত গিয়েছে। প্রাণঘাতী টর্নেডোটি এর অংশ ছিল। -বিবিসি ও রয়টার্স    

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫