জর্জ ফ্লয়েড হত্যায় শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার দোষ স্বীকার

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩:০৩

জর্জ ফ্লয়েড ও ডেরেক শভিন
অবশেষে আদালতের সামনে হত্যার দায় স্বীকার করলেন কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তা। তবে এখনও তার শাস্তি ঘোষণা হয়নি।
এর আগে আদালতের সামনে নিজেকে নির্দোষ বলেছিলেন তিনি। তবে গতকাল বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে ফ্লয়েড হত্যার মূল অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার ডেরেক শভিন।
বিচারকের প্রশ্নের উত্তরে নিজের দোষ কবুল করেছেন তিনি। এর ফলে তার জেল হেফাজতের সময় কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
চলতি বছরের গোড়াতেই দোষী প্রমাণিত হয়েছিলেন ওই বর্ণবাদী পুলিশ কর্মকর্তা। নিজেকে তিনি নির্দোষ বললেও আদালত তাকে সাড়ে ২২ বছর কারাদণ্ড শাস্তি দিয়েছিলেন।

গতকাল ছিল তার নির্দোষ প্রমাণের শুনানি। কিন্তু আদালতকে অভিযুক্ত জানান, তিনি মত পরিবর্তন করেছেন। তিনি দোষ স্বীকার করতে চান। বিচারক এরপর ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ফ্লয়েডের ঘাড়ের উপর তিনি নয় মিনিটেরও বেশি সময় পা তুলে রেখেছিলেন কি না? ফ্লয়েড অচৈতন্য হয়ে যাওয়ার পরেও তিনি তা তুলে রেখেছিলেন কি না? তিনি জেনেবুঝেই ফ্লয়েডকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন কি না?
শভিন সবকটি অভিযোগই মেনে নেন। তবে বিচারক গতকালই শভিনের শাস্তি শোনাননি।
দোষ স্বীকার করায় ওই পুলিশ অফিসারের শাস্তির মেয়াদ কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিচারক যদি ২৫ বছরের সাজা দেন আর অপরাধী যদি জেলে ভালো ব্যবহার করেন, তাহলে সাড়ে ছয় বছরের মধ্যে তিনি মুক্তি পেতে পারেন। সেই হিসেব মাথায় রেখেই অপরাধী দোষ স্বীকার করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
জেলে সংকীর্ণ সলিটারি কনফাইনমেন্টে রাখা হয়েছে ওই পুলিশ অফিসারকে। এদিন কমলা রঙের জেলের পোশাকে আদালতে গিয়েছিলেন তিনি। আদালতের বাইরে তার হাতে হাতকড়া ছিল। মুক্তি পেলেও আর কখনও পুলিশে ফিরে যেতে পারবেন না ওই অফিসার। তেমন একটি চুক্তিপত্রে তাকে সই করতে হয়েছে।
ফ্লয়েডের আইনজীবী জানিয়েছেন, অবশেষে সত্যের জয় হলো। অপরাধীর দোষ স্বীকার প্রমাণ করে দিল আন্দোলনের শক্তি আছে।
গত বছর মে মাসে জাল নোট ব্যবহারের অভিযোগে গ্রেফতারের পর ফ্লয়েডের ঘাড়ে শভিনের (৪৫) হাঁটু গেড়ে বসে থাকার ৯ মিনিটের ভিডিও সাড়া বিশ্বে সমালোচনার ঝড় তুলে। সেসময় ফ্লয়েড বারবারই ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না’ বলে আকুতি জানালেও তা আমলে নেননি পুলিশ সদস্যরা।
এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। একপর্যায়ে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ শিরোনামে এ আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা ছাড়িয়ে যায়। -ডয়চে ভেলে