যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কারা কর্মকর্তারা হাতকড়া পরা এক বন্দিকে প্রচণ্ড মারধরের পর তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এমন একটি ভিডিও ফুটেজ অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। মারধরের পরদিন সকালে ওই ব্যক্তি মারা যান। এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা ছড়িয়ে পড়েছে।
নিহত বন্দির নাম রবার্ট ব্রুকস, বয়স ৪৩ বছর। ১০ ডিসেম্বর মারা যান তিনি। আগের দিন নিউইয়র্কের মার্সি কারেকশনাল ফ্যাসিলিটিতে তাঁকে মারধর করা হয়েছিল।
বডিক্যামে ধারণ করা মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও পরে ছড়িয়ে পড়ে। বডিক্যাম হলো শরীরে সংযুক্ত একটি ছোট আকারের ভিডিও ক্যামেরা। সাধারণত পুলিশ বা নিরাপত্তা কর্মকর্তারা কাউকে আটক করার সময় বা অপরাধস্থলের প্রমাণ রাখার কাজে এ ভিডিও ক্যামেরা ব্যবহার করেন।
ওই ঘটনার পর নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হকুল ১৩ জন কারা কর্মকর্তা আর জড়িত একজন কারা নার্সকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লিটিটিয়া জেমসের দপ্তর। যদিও নিউইয়র্কের কারাগারকর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ভিডিওটিকে ‘চিন্তার বাইরে’ বলে চিহ্নিত করেছে।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রবার্ট চিকিৎসাকেন্দ্রে শারীরিক পরীক্ষার শয্যায় বসে আছেন। এ সময় মুখমণ্ডল ও কুঁচকিতে একের পর এক আঘাত করছেন কর্মকর্তারা।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, রবার্টকে আঘাত করার আগে একজন কর্মকর্তা তাঁর মুখে কিছু একটা রাখছেন। আরেক কর্মকর্তা জুতা পায়ে তাঁর পেটে ক্রমাগত আঘাত করছেন।
মারধরের পরদিন মৃত্যু হয় রবার্টের। প্রাথমিক পরীক্ষায় শ্বাসকষ্টে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে বলা হয়।
তবে কারা কর্মকর্তারা ব্রুকসকে কেন শারীরিক পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছিলেন, প্রাথমিকভাবে তা জানা যায়নি। ভিডিওটিতে কারও কথা শোনা যায়নি।
হামলার একটি ঘটনায় জড়িত থাকায় ব্রুকস ১২ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন বলে জানিয়েছে এপি। মারধরের ঘটনার দিন তাঁকে নিকটস্থ একটি সংশোধনাগার থেকে মার্সি সংশোধনাগারে আনা হয়েছিল।
ব্রুকসের পরিবারের আইনজীবী এলিজাবেথ মাজুর এক বিবৃতিতে বলেন, ভিডিওতে প্রাণঘাতী আক্রমণের ভয়ানক দৃশ্য দেখা গেছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh