Logo
×

Follow Us

মুক্তবচন

জাতীয় বাজেট ২০২৩-২০২৪

Icon

জিয়াউদ্দীন আহমেদ

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৩, ১২:৪১

জাতীয় বাজেট ২০২৩-২০২৪

জিয়াউদ্দীন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হয়েছে জাতীয় সংসদে, জুন মাসব্যাপী আলোচনা হবে, পাস হলেই জুলাই মাস থেকে বাস্তবায়ন শুরু হবে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন, তার বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম ছিল ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’। গত অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ১২ দশমিক ৩৪ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে, যা প্রাক্কলিত জিডিপির ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ।

এবারের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সংগ্রহ করবে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে ৭০ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি পূরণ হবে বৈদেশিক উৎস থেকে ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বিগত অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৭ হাজার টাকা কম। মোট বাজেটের মধ্যে উন্নয়ন বাজেট ধরা হয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা। 

২০৪১ সনের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ভিশন বাস্তবায়ন এবং নির্বাচনকে সামনে রেখে এই বাজেট ঘোষণা। আর তাই ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প চালু করার আশা করছে। জনগণকে ভয় করা দেশের জন্য শুভ লক্ষণ। কিন্তু মনে রাখতে হবে জনপ্রিয় বাজেট শ্রীলঙ্কাকে দেউলিয়া করেছে। অন্যদিকে কাগজবিহীন ও নগদবিহীন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন অর্থমন্ত্রী এই বাজেটে দেখানোর চেষ্টা করেছেন তার প্রয়োগে বাধা অনেক।

ভ্যাট আদায়ে স্বচ্ছতা আনতে, দুর্নীতি রোধ করতে ২০০৮ সাল থেকে সারা দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার বা ইসিআর মেশিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি; ইসিআর সংস্থাপনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ব্যর্থতা ও দীর্ঘসূত্রতায় বাজারে ইতোমধ্যে ভ্যাট আদায়ে আরও উন্নত ডিভাইস ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস বা ইএফডি এসে গেছে, এই ডিভাইস নিয়ে জল্পনা-কল্পনা করতে করতে আরও ১০ বছর অতিবাহিত হবে। ইসিআরের মতো দুর্নীতি অব্যাহত রাখার কুমতলবে বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের ক্ষেত্রেও প্রিপেইড মিটার সংস্থাপন বন্ধ বা শ্লথ করা হয়েছে। এই সকল ক্ষেত্রে অ্যানালগ সিস্টেম অব্যাহত রাখার কুমতলব সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী জানেন না তা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। 

জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে জনগণের দুর্ভোগ কমাতে পারলে বাজেটকে সাধুবাদ দিতেই হয়। কিন্তু আমদানি রপ্তানি কিছুটা স্থিতিশীল থাকা সত্ত্বেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমান্বয়ে কমছে। সোজা হিসাব, আগে বিদেশ থেকে যে পরিমাণ পণ্য কিনতাম তা আরও কমেছে, কিন্তু আগের চেয়ে ডলার লাগছে দ্বিগুণেরও বেশি। কারণ বিদেশে সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। প্রতিটি জিনিসের উৎপাদনে বিদ্যুৎ লাগে, আর বিদ্যুৎ উৎপাদনে লাগে জ্বালানি তেল। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দর বেড়েছে। তেল উৎপাদক দেশগুলো ছাড়া প্রায় প্রতিটি দেশে মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি; আমাদেরও তাই।

এই মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার বাজেট ঘোষণার বাস্তবায়ন তাই প্রায় অসম্ভব। বিশ্ব বাজারে জিনিসপত্রের দাম না কমলে অর্থমন্ত্রী কমাবেন কোন জাদু বলে? আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় রপ্তানি ও বিনিয়োগ প্রত্যাশা অনুযায়ী হবে না। অন্যদিকে সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে, এই চাপের মধ্যে প্রস্তাবিত ৭.৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধিও সহজ হবে বলে মনে হয় না। 

আগামী অর্থবছরে করমুক্ত বার্ষিক আয়ের সীমা ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে সারচার্জমুক্ত মোট সম্পদের সীমা ৩ কোটি থেকে বৃদ্ধি করে ৪ কোটি টাকা করা হয়েছে। এই দুটি সুবিধা ভোগ করবে সচ্ছল করদাতা। অবশ্য যাদের আয় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার কম বা যাদের করযোগ্য আয় থাকবে না তাদেরও ন্যূনতম ২ হাজার টাকা কর দিতে হবে। এমন করারোপের বিরুদ্ধে অনেকেই আপত্তি জানাচ্ছেন।

কিন্তু ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র ৩২ লক্ষ আয়কর রিটার্ন জমা দিচ্ছেন, অথচ টিআইএন রয়েছে ৮৮ লাখ মানুষের। ২০২৩-২৪ অর্থবছর হতে ৩৮ ধরনের সরকারি সেবা পেতে হলে শুধু টিআইএন থাকলে চলবে না, আয়কর রিটার্ন জমা দিয়ে সঙ্গে ন্যূনতম ২ হাজার টাকা করও দিতে হবে। এই করারোপ অস্বাভাবিক বলে মনে হয় না। এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিনও একই কথা বলেছেন। 

আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ ১১ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক মানুষ, বিধবা, নিঃস্ব নারী এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভাতা বিতরণ করছে সরকার। বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, সার ইত্যাদি প্রকৃত দরে বিক্রি করা হলে জিনিসপত্রের দাম আরও বেড়ে যাবে। সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা লোকসান দিয়ে এই সকল পণ্য জনগণের নিকট কম দরে বিক্রি করছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সরকার কন্টেইনার, টার্বো ও জেট ইঞ্জিন আমদানির শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে। ভালো উদ্যোগ। এই সুবিধার আওতায় দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কন্টেইনার আমদানির পাশাপাশি দেশে তৈরি করে স্বাবলম্বী হতে পারবে। বর্তমানে আমদানি-রপ্তানিতে ব্যবহৃত সকল কন্টেইনার বিদেশি কোম্পানি থেকে ভাড়ায় নেওয়া এবং এজন্য নিয়মিত বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হচ্ছে। ভৌত অবকাঠামো খাতের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন দেশের সার্বিক উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত বিধায় এই খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ১০৮ কোটি টাকা। বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি এই খাতের অন্তর্ভুক্ত। দেশীয় শিল্পের বিকাশ ও সুরক্ষার ওপর যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। 

স্বাস্থ্য খাতেও প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে চরম অব্যস্থাপনা জনগণকে হতাশ করলেও সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি এবং ১৪ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুখ্যাতি অর্জন করেছে। কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবনী নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপস্থায়ী প্রতিনিধি ড. মনোয়ার হোসেনের প্রচেষ্টায় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ‘কমিউনিটিভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্জনের লক্ষ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি’ শিরোনামে একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে অতিস¤প্রতি গৃহীত হয়েছে। ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানি শুল্ক হ্রাস করায় জনগণ উপকৃত হবে। 

প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতে ৮৮,১৬১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে যা চলতি অর্থবছরের তুলনায় ১৭,৬৬৫ কোটি টাকা বেশি। খাওয়া ও পোশাক ক্রয়ের সামর্থ্য না থাকায় অসংখ্য গরিব ছাত্র-ছাত্রী মিসকিন আর এতিম হয়ে মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ভর্তি হচ্ছে। তাই সাধারণ শিক্ষার সম্প্রসারণ জরুরি। হজ এবং চিকিৎসা ছাড়া অন্য যে কোনো কারণে বিদেশ ভ্রমণে ৩০০-৫০০ টাকা কর হিসেব আদায় করা হবে। প্রবাসী কর্মজীবীদের ওপর এই কর চাপ সৃষ্টি করবে বলে অনেকে তা প্রত্যাহার করতে বলেছেন। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা এবং ধনী ব্যক্তিদের বিলাসী বিদেশ ভ্রমণ কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না তা রহস্যময়। 

বাংলাদেশের ৭৮৬ কোটি টাকার প্রথম বাজেটের তুলনায় প্রস্তাবিত বাজেট আকাশছোঁয়া; অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের পেশ করা ২০০৯-২০১০ অর্থবছরের বাজেটকে প্রথম উচ্চাভিলাষীর বাজেট হিসেবে বর্ণনা করা হয়ে থাকে। ২০০৬-০৭ অর্থবছরে বিএনপির সর্বশেষ বাজেটের পরিমাণ ছিল ৬৯,৭৪০ কোটি টাকা। অবশ্য কিছু সংখ্যক অর্থনীতিবিদ এবং বিরোধী দল বিগত দিনে ছোট-বড় নির্বিশেষে প্রায় সব বাজেটকে অবাস্তব ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী বলে নাকচ করেছে। প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কেও তাদের অভিমত হচ্ছে, অর্থের সুনির্দিষ্ট জোগান ছাড়া খরচ বৃদ্ধির এ ধরনের রূপকল্প পরিস্থিতিকে আরও বেহাল করে দেবে।

আমদানি করা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক কমানোর উদ্যোগ না থাকায় সিপিডি প্রস্তাবিত বাজেটের কড়া সমালোচনা করেছে, তাদের অভিমত হচ্ছে, বাজেটে সামষ্টিক অর্থনীতির যেসব প্রক্ষেপণ করা হয়েছে তা অর্জনযোগ্য নয়। চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কটের কথা স্বীকার করে তার সমাধানের কোনো পরিকল্পনা প্রস্তাবিত বাজেটে না থাকার বিষয়টিও সিপিডি উল্লেখ করেছে। দুর্নীতি ও অর্থপাচার রোধে দিক-নির্দেশনা না থাকার কথা উল্লেখ করেছে টিআইবি। কিন্তু কোন নীতি পদ্ধতি অনুসরণ করলে দুর্নীতি ও অর্থপাচার রোধ হবে তা কিন্তু টিআইবিও বলছে না। 

বিরোধী বুদ্ধিজীবী ও অর্থনীতিবিদদের মতে, উচ্চাভিলাষী বাজেট বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার আমেরিকার মতো ঋণ নিচ্ছে। স্থবির অর্থনীতিকে সচল করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এর আবশ্যকতা রয়েছে। ঋণ নিলেও তা জিডিপির অংশ বিবেচনায় গত অর্থবছরের চেয়ে কম। আইএমএফের শর্ত মেনে রাজস্ব আয় বাড়াতে কিছু পণ্যের ওপর কর আরোপ করতে হয়েছে, সংশ্লিষ্ট পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে। আবার কর ছাড় দেওয়ার কারণে কিছু পণ্যের দাম কমার কথা; কিন্তু আমাদের দেশে তা হয় না, অসৎ ব্যবসায়ীদের জোটবদ্ধ কূটকৌশলে বাজেট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সকল পণ্যের দাম বেড়ে যায়।

তবে প্রাক্কলিত রাজস্ব আদায়ে সক্ষমতা দেখাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জননিপীড়নকারী কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বারবার ছাড় দেওয়ার নীতি পরিহার করতে হবে, শীর্ষ কর্মকর্তাদের ধীশক্তির পরিচয় দিতে হবে। নীতিনির্ধারক পর্যায়ের বেশিরভাগ সরকারি কর্মকর্তার ভাবের চেয়ে কর্মতৎপরতা কম, সিদ্ধান্ত গ্রহণে বেশি ধীর-স্থির। সিদ্ধান্ত গ্রহণে ধীর-স্থির বলেই বড় আকারের বাজেট বাস্তবায়ন হয় না। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কখনোই পুরোপুরি সফল হয় না, আইএমএফ তাই রাজস্ব আদায় ব্যবস্থাপনা সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে। 

২০৪১ সালের বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি অপরূপ চিত্র তুলে ধরেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি মনে করছেন স্মার্ট বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় হবে সাড়ে ১২ হাজার মার্কিন ডলার, দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকবে ৩ শতাংশের কম মানুষ, চরম দারিদ্র্য নেমে আসবে শূন্যের কোঠায়, মূল্যস্ফীতি সীমিত থাকবে ৪-৫ শতাংশের মধ্যে, বাজেট ঘাটতি থাকবে জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে, রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত হবে ২০ শতাংশের বেশি, বিনিয়োগ হবে জিডিপির ৪০ শতাংশ। ৭ লক্ষ কোটি টাকার বাজেটকে যেখানে বিরোধী রাজনৈতিক, অধিকাংশ বুদ্ধিজীবী, অর্থনীতিবিদ অবাস্তব, উচ্চাকাঙ্ক্ষী ইত্যাদি অভিধায় আখ্যায়িত করে যাচ্ছেন, সেখানে অর্থমন্ত্রীর স্বপ্নের এই স্মার্ট অর্থনীতি তাদের কাছে অবাস্তব স্বপ্ন মনে হবে। 

কর আরোপ করে সরকারের আয়ের পরিমাণ বাড়াতে গেলেই অর্থনীতিবিদ আর বুদ্ধিজীবীদের মুখে সমালোচনার ঝড় ওঠে; কিন্তু যে বাজেটে এক লাখ কোটি টাকা রাখতে হয় সুদ প্রদানের জন্য, এক লাখ কোটি টাকা বেতন-ভাতাদির জন্য, দেড় লাখ কোটি টাকা সামাজিক সুরক্ষার জন্য এবং সোয়া লাখ কোটি টাকা ভর্তুকির জন্য, সেই বাজেট অর্থনীতির সংজ্ঞা দিয়ে সাজানোর উপায় সিপিডি বাতলিয়ে দিলে দেশ উপকৃত হবে।

সাবেক নির্বাহী পরিচালক
বাংলাদেশ ব্যাংক

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫