Logo
×

Follow Us

মুক্তবচন

৩ লাখ ১৫ হাজার শিশু-কিশোরের জন্য ৩ সহস্রাধিক শিক্ষাকেন্দ্র

বন্ধুর পথ পেরিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে শিক্ষার আলো

Icon

জাফর খান

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৩, ১৮:৫৩

বন্ধুর পথ পেরিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে শিক্ষার আলো

কক্সবাজারের উখিয়ার মুক্তি লার্নিং সেন্টারেক্লাসের ফাকে রোহিঙ্গা শিশু। ছবি: ইউনিসেফ

মিয়ানমার সামরিক জান্তার নিপীড়নের মুখে পালিয়ে আসা কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশ সরকারের উদারতায় আশ্রিত হিসেবে বাস করা শুরু করেছেন অনেক বছর হলো। একটি দেশের নানা সীমাবদ্ধতার পরেও সরকারের বিশেষ উদারতা আর মানবিকতার স্পর্শে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আমাদের দেশের পর্যটন খ্যাত কক্সবাজারের উখিয়া, ভাসানচর জুড়ে স্থায়ী ক্যাম্পে বসবাস করে আসছেন। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আন্তরিকতার সঙ্গে বাসস্থান থেকে শুরু করে, সুপেয় পানি, স্যানিটেশন, খাবার সরবরাহ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত নানা উপাদান বিতরণসহ সকল রকমের সুবিধা ও ভৌত অবকাঠামোগত  উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার কাজ করে যাচ্ছে নিরলসভাবে।

পাশাপাশি জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনেস্কো, ইউএনএইচসিআরসহ বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোর আর্থিক অনুদান এ কাজকে করেছে ত্বরান্বিত। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো- ইউনিসেফের নানামুখী সহযোগিতা মূলক অবদান। রোহিঙ্গা নারীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা থেকে শুরু করে মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্যসেবা, শিশু শিক্ষা, নিরাপদ পানি, শুকনা খাবারের ব্যবস্থাসহ অনেক রকমের ইতিবাচক তৎপরতা সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের সঙ্গে মূল্যবান সহায়ক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এতে করে বেশ এগিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা নানা বিষয়ে। 

প্রকৃতিগতভাবে উপকূলীয় অঞ্চল আবহাওয়া পর্যালোচনার দিক হতে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।  নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত এ অঞ্চলটিতে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস , ভূমিধ্বস এসব লেগেই থাকে। এছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিজেদের মধ্যে নানা অন্তর্দ্বন্দ্বে সৃষ্ট সহিংসতা নিরসনেও বেশ সোচ্চার থাকতে হয় নিরাপত্তা বাহিনীকে। আর বিশ্ব সংস্থাগুলোর নজর এড়িয়ে যায়নি এ বিষয়গুলো। অন্যদিকে বাস্তুচ্যুতি, আগুনে ক্ষতিগ্রস্তের শিকার শিক্ষাকেন্দ্র, সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় মোখার তান্ডব- সব মিলিয়ে এত প্রতিকুলতার মধ্যেও বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এবার আশার আলো যেন জেগে ওঠেছে। কারণ সেখানে ব্যবস্থা করা হয়েছে বেশ কিছু শ্রেণিকক্ষের আর সেখানেই রোহিঙ্গা শিশুরা এবারে উচ্ছ্বসিত। কারণ তাদের জন্য করা হয়েছে পাঠদানের ব্যবস্থা। আজ স্কুলের প্রথম দিনে কোলাহলে পরিপূর্ণ নানা বয়সী শিশুদের পদচারণায়। আর এই মহৎ কাজটি শুরু করেছে বিশ্বের ১৯০ টি দেশে শিশুদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনিসেফ।

কিশোর-কিশোরী এবং মেয়েদের জন্য শিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর ফলে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে রেকর্ড সংখ্যক ৩ লাখ শিশু শিক্ষাগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। আর নতুন এই শিক্ষাবর্ষে এবারই প্রথমবারের মতো সব বয়সী শরণার্থী শিশুরা তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারের পাঠ্যক্রম অনুযায়ী পড়াশোনা করবে। ৩ লাখেরও বেশি শিশু-কিশোর ও কিশোরী এ শিক্ষা কর্মসূচীর আওতায় এসেছেন। আর এ কার্যক্রম চলবে ৩ হাজার ২০০ টিরও বেশি শিক্ষা কেন্দ্রে। 

এর আগে, ২০২১ সালে চালু হওয়ার পর থেকে কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে এই আনুষ্ঠানিক পাঠ্যক্রমটি ধীরে ধীরে গ্রেড- ৩ থেকে গ্রেড- ৫ পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছে। আর বর্তমানে প্রথমবারের মতো গ্রেড- ১০ পর্যন্ত চালু করা হলো। এমন উদ্যোগ গ্রহণের ফলে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বড়- ছোট উভয় শিশুদের জন্য শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ উল্লেখযোগ্যহারে বাড়াবে বলে আশা করা যাচ্ছে। 

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুরা শিখতে চায়। তারা তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশা ও স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে চায়। মিয়ানমারে এই শিশুদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- বাংলাদেশে থাকাকালীন তারা যেন তাদের শিক্ষা চালিয়ে যেতে পারে। প্রতিটি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুর জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমি আমাদের সহযোগী ও দাতাদের ইউনিসেফের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।’’

এর আগে, অন্যান্য মানবিক সহায়তাকারীদের সঙ্গে নিয়ে ইউনিসেফ ২০২০ সালে বাংলাদেশের কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরাণার্থী শিশুদের জন্য পাঠ্যক্রমের পদক্ষেপ নেয়। পরে বাংলাদেশ সরকারের এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের ফলে, ইউনিসেফ বছরের প্রথমার্ধে মায়ানমারের পাঠ্যক্রমটি পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। সেসময় পরীক্ষামূলক এই কার্যক্রমে ষষ্ঠ থেকে নবম স্তরের মোট ১০ হাজার রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়। পরে পর্যায়ক্রমিকভাবে অন্যান্য স্তরেও এই কার্যক্রম সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে আজকের দিনের এই সফলতা সামনে এসেছে। 

পরীক্ষামূলক এই কাযক্রমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চাওয়াকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। মিয়ানমারের পাঠ্যক্রমের ভিত্তিতে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় এ কার্যক্রম রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।  

ইউনিসেফ বলছে, বড় শিশুদের জন্য নতুন এ সুযোগের পাশাপাশি সর্বাত্মক প্রচারাভিযানের মাধ্যমে স্কুলের বাইরে থাকা ১৩ হাজারের বেশি শিশুকে শ্রেণিকক্ষে আনা সম্ভব হয়েছে। আর এ বছর রেকর্ড উপস্থিতির মূলে কাজ করেছে, কিশোরীদের শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য নানা সহায়তা প্রদানের বিষয়টি।

মূলত সামাজিক রীতিনীতির কারণে অভিভাবকরা প্রায়ই বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে অনীহা প্রকাশ করেন। এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় অভিভাবকদের কাছে মেয়েদের শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরতে, শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য পৃথক শ্রেনীকক্ষ তৈরীসহ নারীদের সহচার্যে কিশোরীদের স্কুলে পাঠাতে ইউনিসেফ ও তার সহযোগীরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে।

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে এ ধরনের শিক্ষা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনার সাহস করা নিঃসন্দেহে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। 

সহিংসতা ও নিপীড়নের কারণে ২০১৭ সালে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর মধ্যে অর্ধেক ছিল শিশু। তাদের আশ্রিত এই শরণার্থী শিবিরে ৩ হাজার ৪০০ শিক্ষাকেন্দ্রে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের শিক্ষা প্রদান কার্যক্রম চলছে , যার মধ্যে ২ হাজার ৮০০ শিক্ষাকেন্দ্র ইউনিসেফের অর্থায়নে চলছে। এছাড়াও রয়েছে কমিউনিটি বেসড লার্নিং ফ্যাসিলিটি। 

শরণার্থী শিবিরে স্কুলের প্রথম দিনে, ইউনিসেফ ২০২৩/২৪ শিক্ষাবর্ষে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় জরুরিভিত্তিতে ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলারের জন্য আবেদন করেছে। 

 এর আগে শিক্ষার্থীদের চাহিদার ভিত্তিতে তৈরি ‘শিক্ষণ দক্ষতা কাঠামো ও পদ্ধতি’ (এলসিএফএ) নামক পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে ৪ থেকে ১৪ বছর বয়সী ২২০,০০০ রোহিঙ্গা শিশুকে ইউনিসেফ অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছিল। যদিও শিশুদের অধিকাংশই (৯০ শতাংশের বেশি) এলসিএফএ প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরে ছিল। 

মিয়ানমারের রাখা্ইন রাজ্যে শিক্ষার নিম্ন মানের কারনে খুব কম সংখ্যক রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীরই তৃতীয় থেকে অষ্টম এই স্তরের সমতুল্য উচ্চ স্তরে (এলসিএফএ তৃতীয় ও চতুর্থ স্তর) অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছিল। ইংরেজি, গণিত, বার্মিজ, প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের জন্য জীবন দক্ষতা, এবং তৃতীয় ও চতুর্থ স্তরের জন্য বিজ্ঞানসহ বর্তমানে মোট পাঁচটি বিষয় শিখছে তারা। স্থানীয় সম্প্রদায়ের একজন বাংলাদেশী শিক্ষক এবং রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের একজন বার্মিজ ভাষা প্রশিক্ষকের মাধ্যমে ক্লাশগুলো পরিচালিত হয়ে আসছিল।

আর এবারেই ১০ গ্রেডের কার্যক্রম শুরু করলো ইউনিসেফ। ইউনিসেফ ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী ১৮,০০০-এর অধিক রোহিঙ্গা কিশোর-কিশোরীদের সাক্ষরতা, সংখ্যাগণনা, জীবন দক্ষতা এবং বৃত্তিমূলক দক্ষতা প্রশিক্ষণসহ অপেক্ষাকৃত বয়স্কদের জন্য শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছিল।

এর আগে যখন প্রথম এ শিক্ষাক্রম শুরু হয় সেই বছরে ১০ হাজার রোহিঙ্গা শিশুকে মিয়ানমার পাঠ্যক্রমের পরীক্ষামুলক কার্যক্রমের আওতায় আনার লক্ষ্যে ডাবল শিফটের মাধ্যমে শিশুদের শেখানোর জন্য বিদ্যমান ৮ হাজার ৯০০ শিক্ষক ছাড়াও আরও ২৫০ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছিল ইউনিসেফ। 

তবে সময়ের সঙ্গে এই শিক্ষকের সংখ্যাও বাড়বে বলে জানায় ইউনিসেফ। আর এক্ষেত্রে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশী উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে থেকে উপযুক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার পাশপাশি তাদের জন্য সঠিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও রয়েছে। 

এদিকে সিলেবাসের অন্তর্ভূক্ত রয়েছে মিয়ানমারের পাঠ্যক্রম অনুযায়ী- বার্মিজ, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং সামাজিক বিজ্ঞান। এছাড়াও, সময়ের সাথে সাথে তাদের জন্য আরও বিষয় চালু করা হবে বলেও ইউনিসেফ সূত্রে জানা গেছে। 

তবে রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রমের বিষয়ে অবশ্য বিবিসির এক প্রতিবেদনে পাওয়া যায়, মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ভাষ্য, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারের পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার দায়িত্ব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গ্রহণ করতে হবে।

বেসরকারি সংস্থাগুলো সেখানে আরও নানাভাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানে ভূমিকা রাখছে। কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে উখিয়া পর্যন্ত দীর্ঘ এলাকাজুড়ে পাহাড়ের ওপর তৈরি হয়েছে রোহিঙ্গা শিবির। ৩৩টি শিবিরের যে কোনো একটিতে প্রবেশ করলেই রোহিঙ্গাদের ছোট ছোট ঘরের পাশাপাশি এমন লার্নিং সেন্টার বিশেষভাবে নজরে পড়বে। বিগত বছরের পরিসংখ্যান বলছে, রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে গড়ে ওঠা সাড়ে তিন হাজার লার্নিং সেন্টার। যদিও জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান ফর রোহিঙ্গা হিউম্যানিটারিয়ান ক্রাইসিস গত বছর মোট ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৮৮২ শিশুকে শিক্ষার আওতায় আনার পরিকল্পনা করেছিল। এর মধ্যে কক্সবাজারের স্থানীয় হোস্ট কমিউনিটির শিশু রয়েছে ৬০ হাজার ৩৬টি আর এর মধ্যে ৩ লাখ ৫৬ হাজার শিশু শিক্ষার আওতায় অন্তর্ভূক্ত হয়। 

সেখানে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা শিক্ষক রয়েছেন, যাদের মধ্যে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষক নারী। আর ওইসব লার্নিং সেন্টারে হোস্ট কমিউনিটি তথা স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্য থেকে শিক্ষকতায় যুক্ত হয়েছেন সাড়ে তিন হাজার শিক্ষক, যাদের বেশিরভাগই নারী।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, রোহিঙ্গা শিবিরে লার্নিং সেন্টারের পাশে বেশ  কিছু হাফেজি মাদ্রাসাও রয়েছে। বিশেষ করে মসজিদকেন্দ্রিক গড়ে ওঠেছে এসব মাদ্রাসা। রোহিঙ্গাদের মধ্যে যারা হাফেজ রয়েছেন, তারাই এখানে শিক্ষকতা করে থাকেন। তবে রোহিঙ্গা শিশুরা অধ্যনে যুক্ত হলেও সার্টিফিকেট বা সনদ না পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গণমাধ্যমের কাছে। এমনকি সনদ না দিলে রোহিঙ্গাদের অনেকেই শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হবে না। 

এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী পরামর্শ দেন– ইউনিসেফসহ অন্য সংস্থাগুলো যারা রোহিঙ্গাদের শিক্ষায় এগিয়ে এসেছে, তারা সার্টিফিকেট পাওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে অ্যাডভোকেসি করতে পারে। এসময় তিনি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি তাদের সনদের বিষয়েও আন্তর্জাতিক কমিউনিটিকে সোচ্চার হওয়ার কথা বলেন। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫