Logo
×

Follow Us

মুক্তবচন

পঞ্চদশ ব্রিকস শীর্ষ বৈঠক ও বাংলাদেশের অর্জন

Icon

দেলোয়ার হোসেন

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৮

পঞ্চদশ ব্রিকস শীর্ষ বৈঠক ও বাংলাদেশের অর্জন

দেলোয়ার হোসেন। ফাইল ছবি

২০২৩ সালের ২২ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ব্রিকসের ১৫তম শীর্ষ বৈঠক। বৈঠকটি ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল। বিশেষ করে বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে যেখানে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বৃহৎ শক্তিগুলোর ক্রমাগত প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশে এই শীর্ষ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

ব্রিকসকে কেন্দ্র করে উত্তর ও দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম-সমগ্র বিশ্বের মানুষের এক ধরনের দৃষ্টি ছিল। তাদের নজর ছিল ব্রিকস শীর্ষ বৈঠকের কী ফলাফল আসে সেদিকে। ব্রিকস শীর্ষ বৈঠকের আগে কয়েকটি বিষয় সামনে উঠে আসে। পাশাপাশি ব্রিকস এই সম্মেলনের মাধ্যমে কী ধরনের বার্তা প্রদান করবে সেটি নিয়ে আগ্রহের অন্ত ছিল না।

যে বিষয়টি গুরত্বপূর্ণ বা আলোচনার দাবি রাখে সেটি হচ্ছে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন এবং বাংলাদেশের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। ইতোমধ্যে তিনি একটি সংবাদ সম্মেলন করে সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন। বাংলাদেশ তার পূর্বে ব্রিকস এবং বিমসটেকের যৌথ উদ্যোগে একটি শীর্ষ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছিল। সেটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভারতের গোয়াতে ২০১৬ সালে। এবার আমরা দেখলাম বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ব্রিকসের চেয়ার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি বাংলাদেশসহ আরও অনেক দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ব্রিকসের শীর্ষ বৈঠকে অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রিকসের সম্পর্ক একদিক থেকে পুরনো, কারণ বাংলাদেশ ব্রিকসের আগের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিল। একই সঙ্গে ব্রিকসে বাংলাদেশের অন্যতম একটি অর্জন হচ্ছে এই গ্রুপ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ যুক্ত হয় ২০২১ সালে। তাই আরও আগে থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রিকসের সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী। 

বাংলাদেশের জন্য তিনটি ক্ষেত্র খুবই তাৎপর্য বহন করে। প্রথমটি হচ্ছে, ব্রিকস সম্মেলনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কূটনৈতিক ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করে। দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জাতীয় অর্জনগুলো তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছে। আমরা জানি যে বাংলাদেশ গত ১৫ বছর যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করেছে সেটি বিশ্বের কাছে একটি বিস্ময়। গত এক দশকে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়, বাংলাদেশের জিডিপি বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেটি ৫০০ শতাংশ থেকে শুরু করে আরও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার কোভিড-১৯ মোকাবিলার সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে ৫ম অবস্থানে আছে। ফলে বাংলাদেশের অর্থনেতিক, একই সঙ্গে সামাজিক ক্ষেত্রে যে অর্জন সেগুলো তুলে ধরারও সুযোগ পেয়েছে। বাংলাদেশ সম্পর্কে বৈশ্বিক ধারণা বা ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করার সুযোগ প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন। ফলে বাংলাদেশের কূটনীতির দিক থেকেও এই সম্মেলনের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে। 

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য যদি আমরা দেখি, সেখানে তিনি বলছেন কীভাবে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করা যায়। বিশেষ করে ক্লাইমেট জাস্টিস, সঠিক অভিবাসন নীতি, ইকুইটেবল ডিজিটাল অ্যাক্সেস অর্থাৎ ডিজিটাল সুবিধা সকলের নিশ্চিত করা এবং ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে একধরনের টেকসই প্র্যাকটিস যেন থাকে সে কথা তিনি বলেছেন। বিশেষভাবে প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বলেছেন নিজেদের সক্ষমতা, আত্মবিশ্বাস এবং শক্তির ওপর আস্থা রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু পাঁচ দশক আগে বাংলাদেশকে নিয়ে তার যে স্বপ্ন, যে ধারণা করেছিলেন সেটি ব্রিকসের সম্মেলনে আগত অতিথিদের সামনে প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেছেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। ১৯৯৭ সালে নেলসন ম্যান্ডেলা বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ম্যান্ডেলার উপস্থিতি এবং ম্যান্ডেলার মতো বাংলাদেশের জাতির পিতাও প্রায় ১৩ বছর জেলে কাটিয়ে ছিলেন সেই বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেছেন। 

বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ব্রিকস সামিটে অত্যন্ত শক্তিশালী ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ব্রিকস হচ্ছে বর্তমান বহুমেরুকেন্দ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থার একটি বাতিঘর। ফলে সংস্থাটি বিশ্বের শান্তি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য আরও বেশি দায়িত্ব গ্রহণ করবে। তিনি ব্রিকসকে বহুমেরুকেন্দ্রিক বিশ্বে একটি লাইট হাউস হিসেবে দেখতে চান এবং তিনি বলেছেন বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে ব্রিকস একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এগিয়ে যাবে। 

প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণের বৈশ্বিক বাস্তবতা অনুধাবন করে দক্ষিণের দেশগুলোর ভেতরে কৃত্রিম বিভাজন, শত্রু-মিত্র পক্ষভুক্তি বা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ককে কেন্দ্র করে পক্ষ বাছাইয়ের মানসিকতার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। সর্বজনীন যে মূল্যবোধ সেটিকে সংকীর্ণ স্বার্থে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে যা বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে। বিশেষ করে বিশ্বের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা বা নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে যে নিষেধাজ্ঞার বৃত্ত তৈরি হয়েছে তার বিরুদ্ধে তিনি কথা বলেছেন। বর্তমান বিশ্বে অস্ত্র প্রতিযোগিতার ফলে যে ধরনের সম্পদ হ্রাস পাচ্ছে, মানুষ যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার বিরুদ্ধে তিনি কথা বলেছেন। 

বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে যে কাজ করছেন সেটি তিনি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি ১.২ মিলিয়ন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের ভরণপোষণ, সমস্ত দায়িত্ব বাংলাদেশ বহন করেছে এসব কথার সঙ্গে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ যে শরণার্থীতে ভরে আছে সেখানকার কষ্টের কথাও তিনি তার বক্তব্যে বলেছেন। আর্থিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থার কথা বলেছেন যেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে জঙ্গিবাদ রোধ করা, মানবপাচার, সাইবার ক্রাইম, মানি লন্ডারিং এগুলোর বিরুদ্ধে তিনি কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অন্যতম সাফল্য দারিদ্র্য বিমোচন এবং মানুষের মাঝে ডিজিটাল কানেক্টেভিটি বৃদ্ধির সাফল্যগুলো তুলে ধরেছেন এবং কীভাবে সাফল্য অর্জন করেছে, বৈশ্বিকভাবে এ ধরনের সমস্যাগুলো কীভাবে নির্মূল করা যায় সে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন।

উল্লেখ্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বরাবরের মতোই সারা বিশ্বের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা ছিল এবং বিশ্বের যে ধরনের রাজনীতি, চিন্তাসমূহ মানবতার জন্য হুমকি সেসব বিষয়ের প্রতি কোনো ধরনের দ্বিধা না রেখে স্পষ্টভাবে তিনি কথাগুলো বলেছেন। এই সম্মেলন থেকে বাংলাদেশের আরেকটি অর্জন হচ্ছে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সাইডলাইন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশেষ করে চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান এবং মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সরাসরি আলোচনা, মতবিনিময়, সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে- যেগুলো বাংলাদেশের কূটনীতির জন্য ব্যাপক অর্থ বহন করে। সৌদি আরবের একজন মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন।

সার্বিকভাবে বলা যায় যে প্রধানমন্ত্রীর এই শীর্ষ বৈঠকে অংশগ্রহণ শুধু বার্তা প্রদান নয়, পাশাপাশি আমরা দেখেছি বাংলাদেশের বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত বাংলাদেশের অভিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন, রোড শোতে অংশগ্রহণ করেছেন। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের দক্ষিণ আফ্রিকায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে আফ্রিকায় কী ধরনের ভূমিকা ও অবস্থান গ্রহণ করতে হবে, বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় কীভাবে বাংলাদেশ ও আফ্রিকার সম্পর্ক উন্নয়ন করা যায় সে বিষয়ে নিঃসন্দেহে তিনি রাষ্ট্রদূতদের পরামর্শ দিয়েছেন। এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন; কেননা রাষ্ট্রদূতরা বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করছেন। ফলে তাদেরকে একটি পরিষ্কার বার্তা দেওয়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির জন্য অর্থবহ। বলা যায় প্রধানমন্ত্রী একটি অর্থবহ ও সাফল্যমণ্ডিত সফর সমাপ্ত করেছেন। 

তবে একটি বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি বা বড় করে দেখানোর চেষ্টা চলছে, ব্রিকসে বাংলাদেশের সদস্য হিসেবে যুক্ত হতে না পারা। এটি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা আমরা দেখতে পাচ্ছি সংকীর্ণ ও রাজনৈতিক স্বার্থে। বাংলাদেশের ব্রিকসের সদস্য পদপ্রাপ্তির সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু এটি যে ঘটবেই সে নিশ্চয়তা ছিল না। কারণ ৪০টি দেশ সদস্যপদের জন্য আগ্রহ পোষণ করে এবং ২২টি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করে। যে কোনো ধরনের বিশ্লেষণে এটি পরিষ্কার যে ব্রিকসের সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত কৌশলগত ও অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। বিশেষ করে কোন দেশগুলোকে বাছাই করা হবে তা নিঃসন্দেহে ব্রিকসের জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। ফলে দেখা যায় যে ছয়টি দেশের মধ্যে (আর্জেন্টিনা, ইথিওপিয়া, মিশর, ইরান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত) বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত নয়। যদিও বাংলাদেশের সদস্যপদ নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা ছিল, কিন্তু ব্রিকসের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ভৌগোলিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় ছিল বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। সেজন্য শুধু বাংলাদেশ নয়, ইন্দোনেশিয়া কিংবা ভিয়েতনামের মতো দেশের আবেদনও এ পর্যায়ে গৃহীত হয়নি। পুরো বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী তার সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ে ব্রিকস সম্প্রসারণে সন্দেহাতীতভাবে বাংলাদেশ গুরুত্ব পাবে।

পরিশেষে বলা যায় পঞ্চদশ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে কূটনৈতিক বিবেচনায় এবং ব্রিকসের সঙ্গে বাংলাদেশের বিরাজমান যে সম্পর্ক এবং গ্লোবাল সাউথের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিঃসন্দেহে আরও বেশি সুসংহত করেছে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে সদস্যপদের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হলেও বাংলাদেশ এনডিবির সদস্য হিসেবে এবং ১৫তম শীর্ষ বৈঠকে সফল অংশগ্রহণের মাধ্যমে ব্রিকসের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত আছে।


লেখক: অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫