
প্রতীকী ছবি
নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও শেয়ারবাজারে নিয়মিতভাবে সূচকের দরপতন কোনোভাবেই থামছে না। অস্থির পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। লোকসানের আতঙ্কে বাজার ছাড়ছেন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।
বছরের পর বছর ধরে শেয়ারবাজারে যে অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা চলমান, এ অবস্থাকে তারই অনিবার্য পরিণতি বলছেন বিশেষজ্ঞরা। একের পর এক দুর্বল কোম্পানি মিথ্যা তথ্য এবং বাড়তি হিসাব দিয়ে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর যোগসাজশে তালিকাভুক্ত হয়েছে শেয়ারবাজারে। পুঁজিবাজারের অর্থ আত্মসাৎ করে তারা নির্মমভাবে ঠকিয়েছে বিনিয়োগকারীদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত এক বছর ধরে শেয়ারবাজারে নতুন কোনো বিনিয়োগ আসেনি। বরং শেয়ারবাজার থেকে টাকা বের হয়ে গেছে। বাজারের এই নেতিবাচক অবস্থার জন্য নানা অজুহাত দেখানো হয়েছে। কখনো দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির নেতিবাচক অবস্থা, কখনো বিশ্ব অর্থনীতি, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং সর্বশেষ ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের শঙ্কা। কিন্তু আদতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন, ব্যাংকের সুদের হার বেড়ে যাওয়া এবং কারসাজি চক্রের দৌরাত্ম্যকেই শেয়ারবাজারের করুণ অবস্থার জন্য দায়ী করা হচ্ছে।
আমরা মনে করি, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট কাটাতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। এজন্য সব দুর্বল কোম্পানিকে অতি দ্রুত শেয়ারবাজার থেকে সরিয়ে বড় মূলধনী কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি ভালো শেয়ারের সরবরাহ বাড়াতে হবে। কারসাজির মাধ্যমে কেউ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি করলে আইন অনুসারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে কমিশনকে তৎপর থাকতে হবে। শেয়ারবাজারে কোনো সিন্ডিকেট যাতে গজিয়ে উঠতে না পারে সে ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে।